চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয় । বৃহস্পতিবার (১৮সেপ্টেম্বর ) সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার সহ সার্বিক বিষয়ে এতে আলোচনা করা হয়।
এসময় সেনাবাহিনীর বাঁশখালীতে দায়িত্বরত মেজর নাজমুস সা-আদাত ,থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও বাহারছড়ার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান আহমদ, উপজেলা জামাতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাইল, উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহীদ আহমেদ জাকির,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শওকতুজ্জামান, সাধনপুরের চেয়ারম্যান কেএম সালাহ উদ্দিন কামাল, পুকুরিয়ার চেয়ারম্যান মোঃআহসাব উদ্দিন,
বাঁশখালী পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক প্রনব কুমার দাশ,যুগ্ন আহবায়ক ঝুন্টু কুমার দাশ,সদস্য সচিব প্রকৌশলী সঞ্জয় চক্রবর্তী মানিক, সন্ধ্যা রাণী দাশ,মিটু কুমার দাশ, উপজেলা আনসার ভিড়িপি কর্মকর্তা মোঃ হারুন উর রশিদ, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ম্যানেজার মিজানুর রহমান,পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা,কালীপুরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম, পৌরসভা জামাতের আমীর মুহাম্মদ আবু তাহের, বিএনপি নেতা মঈন উদ্দিন চৌধুরী পলাশ (জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর পক্ষে),হেফাজত ইসলাম বাঁশখালীর নেতা মোঃ জসীম উদ্দিন,সাংবাদিক শিব্বির আহমদ রানা প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবাইদুল হক, খানখানাবাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম সিকদার, চাম্বলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শহীদ উল্লাহ,শীলকুপের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদ নুরী,পুইছড়ির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছাম্মদ তানজীম, সরলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার, বাহারছড়া,কাথরিয়া,ছনুয়া শেখেরখীল এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, গন্ডামারার ইউপি সদস্য আবুল কাসেম সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
প্রস্তুতি সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম বলেন,গুজব প্রতিরোধ ,আজানের সময় মাইক বন্ধ রাখা,কোন ধরনের গুজব ফেইস বুকে শেয়ার না করা,সিসি ক্যামরা সব সময় যাতে চালু থাকে,পূজা মণ্ডপ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে আলোচনা করেন।
পূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “পূজা চলাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন তারই নিরিখে পূজা উদযাপন কমিটিকে সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।
এসময় প্রতিটি পূজা মণ্ডপের জন্য একটি করে রেজিস্টার সরবরাহ করা হয়, যেখানে পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের ডিউটির তথ্য লিখে রাখা হবে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নম্বর সম্বলিত ফেস্টুন বিতরণের ঘোষণা দেওয়া হয়।
পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন এবং পুলিশ প্রশাসন সেগুলোর সমাধানে আশ্বাস প্রদান করে। সভার শেষাংশে নেতৃবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ।
উল্লেখ্য এবার বাঁশখালীর পৌরসভা সহ ১৪ ইউনিয়নে ৮৮টি পুজামন্ডপে সার্বজনীন দুর্গাপুজা এবং ১৮০টি ঘটপুজা অনুষ্টিত হবে বলে পুজা পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান । এ সময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ,স্থানীয় সংবাদকর্মী, বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি-সম্পাদক ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
Leave a Reply