সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাঁশখালী‌তে উত্তর জলদী সূর্য উদয় ক্লাবের উদ্যোগে শ্রী শ্রী গণেশ চতুর্থী উদযাপন মাকে সাথে নিয়ে শিক্ষা জীবনের বিদায় সন্মাননা নিলেন প্রধান শিক্ষক প্রনব সিকদার বাঁশখালী আসন ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুনরুদ্ধার করবো বিএনপি নেতা ইদ্রিস মিয়া জাতীয় পর্যা‌য়ে মেট ক্লা‌বের উ‌দ্বোধন কর‌লেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের রাস্তার দু,পাশে দাঁড় করিয়ে ফুলের পাঁপড়িতে সন্মাননা নিলেন সভাপতি বাঁশখালীর শীলকূপ ঐক্য সংসদের উদ্যোগে কৃর্তি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে কর্মপরিকল্পনা বৈধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত ১১বছর পর আবা‌রো অধ্যক্ষ হিসা‌বে দা‌য়িত্ব গ্রহন মুহাম্মদ জহিরুল ইসলামের বাঁশখালীতে ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির উদ্যোগে কৃর্তি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা বাঁশখালীর সাধনপুর পল্লী মঙ্গল সমিতির শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

অপূর্ণ ভালোবাসার অভিশাপ -রহস্যময় জঙ্গলে সব ‘গাছ’ই পাথরের

সংবাদ দাতা
  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৬৫৫ জন পড়েছেন

সুত্র: আজাদী ডেস্ক

দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিস্তৃত ঘন জঙ্গল। শুধু পার্থক্য একটাই। রহস্যময় এ জঙ্গলের রং কালো। কালো কারণ এ জঙ্গলের ‘গাছগুলো’ সব পাথর! ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছোট বড় অগণিত প্রস্তর-বৃক্ষ। চীনের ইউনান প্রদেশের পাঁচশো বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই প্রস্তর অরণ্য। আগে এই অঞ্চলের নাম ছিল শাইলিন। শাইলিন শব্দের অর্থই হল পাথরের জঙ্গল।
চীনের কুনমিং থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে শাইলিন। গুহার মধ্যে যেমন স্ট্যালাগমাইট গড়ে ওঠে, এই প্রস্তর অরণ্য অনেকটা তেমনই দেখতে। গাছের মতোই মাটি ভেদ করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি পাথর। পুরো অরণ্যটাই চুনাপাথরের। তাই এই জঙ্গলে প্রবেশ করলে তাজা অঙিজেনের পরিবর্তে চুনাপাথরের গন্ধ নাকে আসবে। এই অরণ্য ৭টি অঞ্চলে বিভক্ত। জলপ্রপাত, দুটো বিশাল হ্র্রদ, প্রাকৃতিক গুহা এবং এই পাথরের জঙ্গল সব মিলিয়ে পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ২০০৭ সালে এই এলাকার দুটো অংশ নাইগু প্রস্তর অরণ্য এবং সুওগেয়ি গ্রাম ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষিত হয়। বলা হয়ে থাকে, বিস্ময়কর এই ভূমিরূপ ২৭ কোটি বছরেরও বেশি প্রাচীন। চীনের কুনমিং থেকে বাসে এই স্থানে আসা যায়। প্রতি বছর দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক এসে ভিড় জমান। ফলে অনেক হোটেলও গড়ে উঠেছে এখানে। কী ভাবে তৈরি হল এই প্রস্তর অরণ্য? এ নিয়ে একাধিক মতবাদ রয়েছে। এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দাদের কাছে এক সুন্দরীর অপূর্ণ ভালবাসার সাক্ষী এই অরণ্য। অশিমা নামে ওই তরুণীর ভালবাসা নাকি পরিণতি পায়নি। তাকে অভিশাপ দিয়ে পাথর করে দেওয়া হয়েছিল। সেই দুঃখেই নাকি বাকি সব গাছ পাথর হয়ে যায়। তার সেই করুণ কাহিনির সাক্ষী এই প্রস্তর-অরণ্য। তবে ভূবিজ্ঞানীদের মতে, এক সময় গভীর জলাশয় ছিল এখানে। জলাশয়ের নীচে নিমজ্জিত ছিল এই পাথরগুলো। ক্রমে পানির স্তর নামতে শুরু করলে জঙ্গলের মতো পাথরগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তার পর দীর্ঘ সময় ধরে বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে এ রকম আকার ধারণ করেছে সেগুলো। প্রতি বছর ষষ্ঠ চান্দ্রমাসের ২৪ তারিখে এই এলাকার বাসিন্দারা এক বিশেষ উৎসব পালন করেন। তাদের লোকনৃত্য এবং কুস্তি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। চিন ছাড়াও তুরস্কে পাথরের এমন বিস্ময়কর জঙ্গল দেখতে পাওয়া যায়। তুরস্কের কাপাডোশিয়ায় ওই পাথরের ভিতরে গুহা তৈরি করে এক সময় মানুষ বসবাস করতেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ