চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ১১বছর আবারো পুনরায় অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহন করেছেন ।
মঙ্গলবার (১২আগষ্ট মঙ্গলবার ) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় গিয়ে নিজের দায়িত্ব বুঝিয়ে নেন বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান,চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা জামাতের সহ সেক্রেটারি ও সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম । তবে দায়িত্ব গ্রহন এবং মাদ্রাসা গমনের পর বেশ কিছু উৎসুখ জনতা ও মাদ্রাসার শিক্ষকেরা উপস্থিত থাকলে মাদ্রাসার সভাপতি উপস্থিত ছিলেন না বলে সুত্রে জানা যায় । ১১ আগস্ট সোমবার অধিদপ্তরের পরিদর্শন (চট্টগ্রাম বিভাগ) শাখা জি এম শামছুল আলম স্বাক্ষরিত ( থেকে স্মারক নং ৫৭.২৫.০০০০.০০০.০১০.০৫.০০০১.১৮.৯৮৬ ) এর মাধ্যমে এ নির্দেশনা সভাপতি বরাবরে প্রেরন করে । সে চিঠির আলোকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রদক্ত চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে “চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম-এর চাকরিতে পুনরায় যোগদান প্রসঙ্গে।” অফিস আদেশে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বরখাস্তের অভিযোগে অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ২২ মে ২০২৫ তারিখে (ডকেট নং-১৪৪৪৬) অধিদপ্তরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। এ বিষয়ে ৬ জুন ২০২৫ ও ২৩ জুলাই ২০২৫ তারিখের দুটি স্মারকের প্রেক্ষিতে তদন্তভার দেওয়া হয় পরিদর্শক (প্রশিক্ষণ ও শারীরিক শিক্ষা) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাককে। তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ২০০১ সালের ১ নভেম্বর বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় যোগদান করেন এবং এমপিওভুক্ত হন (ইনডেক্স-৩১৬৬৯৪)। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সে সময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ১৫ জুন ২০১১ খ্রি. তারিখের আদেশ অনুযায়ী (নং ৪৬.০৪৫.০২৭.০৮.০১.০০১.২০১১-২৩৯০) উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে বিনা বেতনে ৫ বছরের ছুটি নেওয়ার সুযোগ ছিল। এ ঘটনায় আদালতের রিট পিটিশন নং-৩৬৫৭/২০১৫ এর রায়ে বলা হয়, কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে ৬০ দিনের বেশি সাময়িক বরখাস্ত রাখলে তিনি পূর্ণ বেতন-ভাতা পাওয়ার অধিকারী হবেন।
তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় অধিদপ্তর গভর্নিং বডির সভাপতিকে “বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন।
এ দিকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চাকরি থেকে দুরে থাকা অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলাম। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। ফলে আজ মঙ্গলবার থেকে নিজ দায়িত্ব পালন করার জন্য মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়েছি বলে তিনি জানান ।
এদিকে বাঁশখালী হামেদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম না থাকাকালীন সময় বেশ কয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকা সহ মোঃ জমির উদ্দিন নেছারী প্রায় ৬ বছর অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর কিছুদিন আগে মারা গেলে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে মোঃ নজরুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করেন।