বাঁশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান বুধবার দুপুরে বাঁশখালী পৌরসদরস্থ গ্রীনপার্ক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক ফয়সাল জামিল চৌধুরী সাকি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান চৌধুরী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস কাবের সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আইয়ের চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব রিপন মাঈনুদ্দীন বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের অর্থ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক অধ্যাপক আবুল হাশেম মানিক, বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা অসিত সেন, সরোয়ার হোছাইন চৌধুরী, আজিমুল ইসলাম ভেদু, আহমদ ছফা, আবুল বশর, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সরোয়ার মনি, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব কাজী রাজেশ এমরান, চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উপদেষ্টা সদস্য অ্যাডভোকেট আলমগীর কবির, জহির উদ্দীন বাবর, আরিফ মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন, মৃদুল দত্ত, শহীদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন সিকদার, ওয়াহিদুল ইসলাম চৌধুরী, গিয়াস কামাল হায়দার, মোরশেদ বুলবুল, দিলদার, সাগর চৌধুরী, এস এ মান্নান, রাজু দাশ, ফাহিমুল হক চৌধুরী, উৎপল চৌধুরী, রাজীব চৌধুরী, তছলিমা আক্তার, আশীষ বাবু ,মো: জোনাইদ, সাইফুল ইসলাম, ফারদিন সরওয়ার, কলিম উদ্দিন আপন প্রমুখ। এতে বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস স্বাধীনতা সংগ্রামের পর এদেশকে স্বাধীন করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। এদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করে গিয়েছিল এবং এদেশকে পাক হানাদারমুক্ত করেছিল। তাই ইতিহাসের পাতায় মহান মুক্তিযোদ্ধাদের এই আত্মত্যাগের স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আজীবন।’ বাঁশখালীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের আগামীর যে কোন সমস্যা সন্মিলিত ভাবে মোকাবেলা করার আহবান জানান। পরে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। অনুষ্টানের শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে সংগীত পরিবেশন করেন সংগীত শিল্পী টিংকু দাশ সহ তার দল ।