বাঁশখালীতে চলতি বছরে সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর জমি বোরো চাষ করা হয়েছে। চলতি বছরে বাঁশখালীর ১৪ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা মিলে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৪ শত হেক্টর , লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে আরো ১১ শত হেক্টর বেশি চাষাবাদ হলেও ধানের দাম বৃদ্ধি ও ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকেরা খুশি। বোরো ধানে পাকা রং ধরার সাথে সাথে কৃষকেরা মাঠে ধান কাটতে শুরু করেছে। ধান কাটায় নতুন প্রযুক্তি কম্ভাইন হারভেষ্টার ধান ধান কাটার মেশিনের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে বেশি পরিমান ধান কেটে ফেলার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ধান কাটার শ্রমিক স্বপ্লতা ও নানা সমস্যা রয়েছে তা এখন আগের মত থাকবেনা বলে আশা করছে কৃষকেরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শেখেরখীল লাল জীবন এলাকায় কম্ভাইন হারভেষ্টার ধান কাটার দৃশ্য সরজমিনে প্রত্যক্ষ কালে ধান চাষী আবুল হোসেন জানান, এ মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটা হলে অল্প সময়ে অধিক জমির ধান কাটা, ধান এবং কড় আলাদা করে নেওয়ার সুযোগ থাকায় যারা বেশি জমিতে চাষাবাদ করে সে সব চাষীরা এ মেশিন দিয়ে ধান কাটার দিকে ঝুঁকছে বলে জানান তিনি। শেখেরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াছিন সিকদারের বলেন, সরকার আধুনিক প্রযুক্তিতে ধান কাটা ও রোপনের যে মেশিন ভুক্তর্কি মুল্যে প্রদান করছে তাতে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। আমার এলাকার কৃষকেরা এখন আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র কম্ভাইন হারভেষ্টার ধান কাটছে। বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আবু ছালেক বলেন, চলতি বছরে সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর জমি বোরো চাষ করা হয়েছে। চলতি বছরে বাঁশখালীর ১৪ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা মিলে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৪ শত হেক্টর, লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে আরো ১১ হেক্টর বেশি চাষাবাদ হলেও ধানের দাম বৃদ্ধি ও ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকেরা খুশি। কৃষকদের বোরো চাষ করার জন্য ৬ হাজার কৃষককে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে বীজ প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতিনিয়ত কৃষক যাতে ভালো ফলন পায় তার জন্য উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা তদারকি করে যাচ্ছেন। এ বছর প্রাকৃতিক পরিবেশ ভাল থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আর ১০/১৫দিন যদি বৃষ্টি বাদল না হয় তাহলে নিবির্ঘে কৃষকেরা তাদের ধান তুলে নিতে পারবে বলে তিনি জানান। বাঁশখালীর সর্বত্র এখন বোরো ধান কাটার ধুম পড়েছে কৃষকদের মাঝে।