বাঁশখালীর সাধনপুরে ও জলদীতে সড়ক দুঘর্টনায় নিহত ৪ পরিবারের স্বজনদের বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের জি আর (ক্যাশ) হতে দাফন ও সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। সোমবার রাতে এবং মঙ্গল বার সকালে এ নগদ অর্থ পরিবারের স্বজনদের হাতে তুলে দেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী। এ সময় তিনি নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য সোমবার (১০ মে) দুপুরে বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের পুর্ব বৈলগাঁও নামক স্থানে সিএনজি অটোরিক্সাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে কক্সবাজারের চকরিয়ার উপজেলার মো: আরমানের স্ত্রী সানজিদা করিম প্রিয়া (২৩) ও একমাত্র কন্যা সন্তান প্রিয়া মনিক (৩) এবং মধ্যম বাইশারী, নাইক্ষ্যংছড়ি বান্দরবান এলাকার মো: হাশেম, মাতা আয়েশা বেগম এর পুত্র আবদুর রহিম (২৬) নিহত হয়। একইদিন সকাল ১০টা পৌরসভার জলদীতে ডেম্পার ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়ে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায় বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদী এলাকার মৃত অনঙ্গ মোহন চক্রবর্তীর পুত্র দুলাল চক্রবর্তী (৭৫)। এছাড়া এ দু,সড়ক দুঘর্টনায় আরো ৬ জন আহত হয় তারা এখন চমেক সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সড়কটি একদিকে সরু অন্যদিকে মাত্রাতিরিক্ত গাড়ির চাপ থাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দুঘর্টনা সংঘটিত হচ্ছে। এছাড়া ঈদকে সামনে রেখে প্রধান সড়কের সাথে লাগোয়া ১০/১২ বাজারো মালামাল পথে রেখে ব্যবসা করছে ব্যবসায়ীরা। যার ফলে সীমাহীন ভোগান্তি চলছে বাঁশখালী জুড়ে।