বাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ১৯ পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী এবং নিহতের পরিবারকে দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে ।
পুঁইছড়ী ইউনিয়নের ০২ নং ওয়ার্ড, বাইন্না মার্কেটে আহম্মদ ফকিরের বাড়িতে শনিবার গভীর রাতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে প্রায় ০৮ টি কাঁচা পাকা বসত ঘর সম্পূর্ণ রুপে পুড়ে যায়। পুঁড়ে যাওয়া বসত ঘরে ১৯ টি পরিবার বসবাস করতো। এ সময় মোঃসত্তর আহম্মদ এর বসত ঘর এর ভিতরে আটকে পড়া নানা বাড়িতে বেড়াতে আসা পুর্ব পুঁইছড়ির আমান উল্লাহর প্রথম শ্রেনী পড়ুয়া কন্যা সায়মা বেগম (০৭), এর পোড়া মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ সময় জয়নাল আবেদীন(৫০) এক প্রতিবন্ধী অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এলাকার সাধারন জনগন , ফায়ার সার্ভিস ও বাঁশখালী থানা পুলিশের সহায়তায় প্রায় ০১ঘন্টা ৪০ মিনিট পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের দাফন কাফনের জন্য জি আর (ক্যাশ) হতে নগদ ২০০০০/- টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি পরিবারের মাঝে নগদ ২৫০০/- হারে বিতরণ করা হয়। উপজেলা পরিষদ বাঁশখালীর পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ২ কেজি আলু ও ১ কেজি লবণ বিতরণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ০৬ টি পরিবারের মাঝে যাদের গবাদিপশু আছে তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে গো খাদ্য বিতরণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন নিহতের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সমরঞ্জন বড়ুয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী, পুইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলতানুল গনি চৌধুরী লেদু মিয়া সহ অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।