বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের লকডাউন (১জুলাই থেকে ৭ জুলাই ) সকল ধরনের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চা বাগান কর্তৃপক্ষ। এ উপলক্ষে চা বাগানের প্রবেশ গেইটে করোনা ও সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন কার্যকরতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলে জানান চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো:আবুল বাশার। উল্লেখ্য বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের বিশাল সবুজের সমারোহ দেখার জন্য পর্যটক ও দর্শনাথীদের আনাগোনায় মুখর থাকে। কিন্ত করোনা পরিস্থিতির কারনে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে চা বাগানের অভ্যন্তরে থাকা শ্রমিকেরা করোনার নিয়ম নীতি মেনে নিয়মি হাত ধোঁয়া, বাসা বাড়িতে ব্লিসিডিং পাউড়ার চিটানো, নিয়মিত শারিরীক পরীক্ষা করা সব মেনে তাদের কর্মজীবন চলমান রয়েছে। বর্তমানে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি হওয়ার ফলে চা পাতা গুলো সবুজের ছোঁয়ায় ছেঁেয় গেছে।
বাঁশখালীর পুকুরিয়া চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানে কচি পাতা আর কোন চা উৎপাদন করায় এই বাগানটি বর্তমানে দেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানে রয়েছে। বাঁশখালীতে অবস্থিত ৩ হাজার ৪ শত ৭২.৫৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই চা-বাগানটির দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে । প্রতিদিন ৭ শতাধিক শ্রমিক এই চা বাগানে তাদের শ্রমের মাধ্যমে নতুন পাতা উৎপাদন ট্রেসিং থেকে শুরু করে চা-বাগানের সামগ্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চা বাগানের অভ্যন্তরে ৭ শতাধিক কর্মচারী নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা সহ অন্যান্য সার্বিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে জানান চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো:আবুল বাশার। বছরের শুরুতে বৃষ্টি কম হওয়ায় পাতা উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি হলেও চা-বাগান কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিদিন বাগানের সর্বত্র আধুনিক উপায়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা চালু রেখেছে যার ফলে নতুন নতুন কচি পাতা গজে উঠছে। বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের চা পাতা সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে এই মানের জন্য চা বাগানের কর্মরতরা প্রতিদিন অকান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন যত বৃদ্ধি পায় সরকার রাজস্ব তত বেশি পায়। বর্তমানে চা পাতার বিক্রিত অর্থ থেকে সরকার ১৫% হারে ভ্যাট পান। তবে তিনি বাগানের কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, চা বাগানের চার পাশে ঘেরা বেড়া না থাকায় প্রতিদিন হাতির পাল চা বাগানে ছুটে আসে। ফলে শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রায় সময় শংকিত অবস্থায় থাকে। তিনি সরকারী এই রাজস্ব আয়ের অন্যতম চা-বাগানের যাতায়াতের সড়কটি সংস্কার করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। চা বাগান সড়কটি বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সার্বিক সহযোগিতায় অর্ধেকাংশ কার্পেটিং করা হলে ও বাকী অংশ সড়কে ইট উঠে যাওয়ায় চলাচলে ও চা পাতা পরিবহনে ভোগান্তি হচ্ছে বলে জানান চা বাগান কর্তৃপক্ষ।