বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক লায়ন এম আইয়ুবের পিতা বিশিষ্ট সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব মাস্টার মাহফুজ আলী গত ১৪ জুলাই ২০২১ ইং দুপুর আড়াইটায় নগরীর রয়েল হসপিটালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তিনি এক সপ্তাহ ধরে ব্রেনস্ট্রোক ও বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে রয়েল হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, ৫ পুত্রসন্তান, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
মরহুম মাস্টার মাহফুজ আলী বৈলছড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মাধ্যমে অসংখ্য শিক্ষার্থীদের সরাসরি পাঠদান করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।
মরহুম মাস্টার মাহফুজ আলী ছিলেন একজন নিরহংকার, সমাজসেবী, পরোপকারী, মিষ্টভাষী ও সদালাপী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ মেজবাহুল হক, সমাজসেবী এম আনোয়ার হোসেন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আলী, বাঁশখালী সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এএইচএম জিয়া উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী, বিএসএ গ্রুপের পরিচালক নাফিদ নবী নাব, বৈলছড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন, বাঁশখালী সমিতির অর্থ সম্পাদক লায়ন নাসিমুল আহসান চৌধুরী জুয়েল, বাঁশখালী টাইমসের সম্পাদক আবু ওবাইদা আরাফাত প্রমুখ।
এ ছাড়া গভীর শোক জানিয়ে বিবৃতি দেন নগর ও নাগরিক, নাগরিক নিউজ, বাঁশখালী টাইমস, দ্য ফিফটিন, ব্লগবাড়ি, বাঁশখালী সাহিত্য পরিষদ, বাঁশখালী সমাজ উন্নয়ন ফোরাম, নক্ষত্র চট্টগ্রাম, বাঁশখালী বিকিরণ সংস্থা, বাঁশখালী পর্যটন উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটি, লায়ন্স কাব অব চিটাগং, নোঙ্গর ২০০৩, হ্যান্ডওভার, বাঁশখালী প্রেস ক্লাব (প্রতিষ্টা-১৯৯৬সাল) সহ বিভিন্ন সংগঠন। গত ১৪ জুলাই রাত ৯ টায় বৈলছড়ী নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।