বাঁশখালী পৌরসভার চতুর্থবারের নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি সকল কল্পনা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শান্তিপুর্ণ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত মেয়র এ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন সহ ১২ জন কাউন্সিলর এর মধ্যে ৯ জন কাউন্সিলর নতুন ভাবে বিজয়ী হয়েছে, আর সংরক্ষিত ২ জন সহ পুরাতন বিজয়ী ৩ জন। ১৬ জানুয়ারি অনুুষ্টিত নির্বাচনে ২৬ হাজার ৯৮০ ভোটের মধ্যে মেয়র পদে সর্বমোট বৈধ ভোট ১৫ হাজার ৭১০ ভোট । তার মধ্যে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত মেয়র এ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন পান ১৪ হাজার ৩৪৫ ভোট, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোছাইনী ১৩৬৫ ভোট। আর বাতিল হয় ১৬ ভোট। সংরক্ষিত ১.২.৩ ওয়ার্ডে রুজিয়া আকতার (জবা ফুল) ২২০৬ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়, সে গতবার কাউন্সিলর ছিল। তার প্রতিদ্বন্দি হামিদা বেগম (আনারস) ১৬৯৯ ভোট। সংরক্ষিত ৪.৫.৬ ওয়ার্ডে রোজিয়া সুলতানা (আনারস) ২৮০২ ভাট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। সে পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দি রেবা তালুকদার (চশমা) ২২১১ ভোট। সংরক্ষিত ৭.৮.৯ ওয়ার্ডে প্রথম বারের মত ছাদেকা নুর খানম বিউটি(আনারস) ২১২৮ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দি গতবারের কাউন্সিল নারগিস আক্তার (জবা ফুল) পায় ১৭৫৪ ভোট। সংরক্ষিত ৩ জনের মধ্যে ২ জন গতবারের এবং ১জন নতুন ভাবে নির্বাচিত হয়। সাধারন ১নং ওয়ার্ডে আনসুর আলী তালুকদার(উটপাখি) ১৪০৩ ভোট পেয়ে প্রথম বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দি মাহফুজুর রহমান আনিছ(পাঞ্জাবি) ১৭ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে কাঞ্চন কুমার বড়ুয়া (পাঞ্জাবি) ৬৬৭ ভোট পেয়ে নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দি মিলন বড়ুয়া (ব্রিজ) পায় ৩৩৭ ভোট। সে ২০১১ সালের নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বিগত বারের কাউন্সিলর তপন বড়–য়া এবার নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি। ৩নং ওয়ার্ডে জমশেদ আলম(ব্রিজ) ৩৪৪ ভোট পেয়ে আবারো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দি মো: মানিকুল আলম (পানির বোতল) পায় ২৫৬ ভোট। এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিল ৯ জন। ৪নং ওয়ার্ডে আরিফ মঈনুদ্দিন (পাঞ্জাবি) ১১১৩ ভোট পেয়ে নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দি সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী মো:আজগর হোসেন (উটপাখি) পায় ৩৪৮ ভোট । ৫নং ওয়ার্ডে মো: ইসহাক (উটপাখি) ৪০১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। সে এর আগে ও একবার কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ওয়ার্ড়ে সবচেয়ে কম ৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয় প্রতিদ্বন্দি মো: সোহেল (টেবিল ল্যাম্প) পায় ৩৯২ ভোট। এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ৭ জন থাকলে ও সাবেক কাউন্সিলর নজরুল কবির সিকদার এবার নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি। ৬নং ওয়ার্ডে আক্তার হোসেন (ব্রিজ) ১২১১ভোট পেয়ে নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দি ২ বারের সাবেক কাউন্সিলর দিলীপ চক্রবর্তী(পাঞ্জাবি) পায় ৫৬৩ ভোট। ৭নং ওয়ার্ডে আবদুল গফুর (ব্রিজ) ৯০১ ভোাট পেয়ে নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দি আরাফাত উদ্দিন (টেবিল ল্যাম্প) পায় ৪৫১ ভোট। ৮নং ওয়ার্ডে প্রনব কুমার দাশ (ব্ল্যাক বোর্ড) ৯৩১ ভোট পেয়ে নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়।সে এর আগেও কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। তার প্রতিদ্বন্দি ব্যোমপতি দাশ (ডালিম) ৭২০ ভোট। এ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বাবলা কুমার দাশ এবার নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি। ৯নং ওয়ার্ডে বদিউল আলম (টেবিল ল্যাম্প) ৬৬৫ ভোট পেয়ে নতুন করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তার প্রতিদ্বন্দি সাবেক কাউন্সিলর দেলোয়ার হোছাইন (পাঞ্জাবি) পায় ৪৮২ ভোট। উল্লেখ্য বাঁশখালীর উপজেলা সদরের জলদী ইউনিয়নকে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের ১৫ই জানুয়ারী প্রথম পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোছাইনী। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ৫ মে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথম পৌর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোছাইনী। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১৮ ই জানুয়ারী নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছিল শেখ ফখরুদ্দিন চৌধুরী। তৃতীয় নির্বাচনে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিল শেখ সেলিমুল হক চৌধুরী। তিনি ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনের পরে দায়িত্ব হস্তান্তর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। বাঁশখালী পৌরসভা সি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত হলেও পৌর এলাকায় আশানুরূপ উন্নয়ন না হলেও পৌরসভা হওয়ার পর পৌর এলাকার জায়গা জমির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আশাতীত ! এবার নির্বাচনে নতুন করে বিজয়ীরা প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার এবার বাস্তবায়ন হবে সে প্রত্যাশা জনগনের। বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ট শান্তিপুর্ণ ভাবে সম্পাদনের জন্য বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ কামাল উদ্দিন, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনের সহকারি রিটানিং অফিসার মুহাম্মদ ফয়সাল আলম সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান। এদিকে বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারি সকল প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট হলো সংরক্ষিত ১.২.৩ ওয়ার্ডে রুজিয়া আকতার (জবা ফুল) ২২০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। হামিদা বেগম (আনারস) ১৬৯৯ ভোট, সেতারা বেগম (চশমা) ৮০২ ভোট, সারাবান তাহুরা ফেরদৌসি কলি (অটোরিক্সা) ২৭০ ভোট । ৪.৫.৬ ওয়ার্ডে রোজিয়া সুলতানা (আনারস) ২৮০২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়, রেবা তালুকদার (চশমা) ২২১১ ভোট । ৭.৮.৯ ওয়ার্ডে ছাদেকা নুর খানম বিউটি(আনারস) ২১২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। সাবেক কাউন্সিলর নারগিস আক্তার(জবা ফুল) ১৭৫৪ ভোট, করিমা আক্তার (টেলিফোন)৭৭৪ ভোট,খালেদা বেগম (চশমা) ১০১২ ভোট। ১নং ওয়ার্ডে আনসুর আলী (উটপাখি) ১৪০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। মাহফুজুর রহমান আনিছ (পাঞ্জাবি) ১৭ ভোট ,মো: হোছাইন (ডালিম) ৪ ভোট, । ২নং ওয়ার্ডে কাঞ্চন কুমার বড়ুয়া(পাঞ্জাবি) ৬৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। মিলন বড়ুয়া (ব্রিজ) ৩৩৭ ভোট, হারুনুর রশিদ(উটপাখি) ২৯৫ ভোট, মা:আবদুল লতিফ(ডালিম) ২৬৪ ভোট । ৩নং ওয়ার্ডে জমশেদ আলম(ব্রিজ) ৩৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। অপর প্রার্থী মো: জামাল উদ্দিন (ব্ল্যাক বোর্ড) ২৬২ ভোট ,মো: মানিকুল আলম (পানির বোতল) ২৫৬ ভোট,আবদুল অদুদ লেদু (উটপাখি) ২২৪ ভোট, মো: সাহাব উদ্দিন (গাজর) ২০০ ভোট,মো: ফিরোজ শাহী (টেবিল ল্যাম্প) ২৪৩ ভোট, মো: মোসলেম উদ্দিন (ডালিম) ১১১ ভোট, মো: বেলাল উদ্দিন (ফাইল কেবিনেট) ১৬৬ ভোট, মো: জসীম উদ্দিন (পাঞ্জাবি) ১৮৬ ভোট। ৪নং ওয়ার্ডে আরিফ মঈনুদ্দিন (পাঞ্জাবি) ১১১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। অপর প্রার্থী আজগর হোসেন (ইটাপাখি) ৩৪৮ ভোট, মো: আকতার হোছাইন (ব্রিজ) ২৩ ভোট । ৫নং ওয়ার্ডে মো: ইসহাক (উটপাখি) ৪০১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। অপর প্রার্থী মো: সোহেল(টেবিল ল্যাম্প) ৩৯২ ভোট,মো: নাছির উদ্দিন (ব্ল্যাক বোর্ড) ৩৯০,মো: আমিরুজ্জামান (ডালিম) ৩৩ ভোট,মো: হোছাইন উদ্দিন(গাজর) ১৫২ ভোট, মো: নঈমুল হক মানিক (ব্রিজ) ১১৯ ভোট, নুরুল আলম (পাঞ্জাবি) ২১০ ভোট। ৬নং ওয়ার্ডে আক্তার হোসেন (ব্রিজ) ১২১১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। অপর প্রার্থী দিলীপ চক্রবর্তী(পাঞ্জাবি) ৫৬৩ ভোট, নির্মল কান্তি রুদ্র (উটপাখি) ৮১ ভোট । ৭নং ওয়ার্ডে), আবদুল গফুর (ব্রিজ) ৯০১ ভোাট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। অপর প্রার্থী মোহাম্মদ হারুন (পাঞ্জাবি) ৩১৪ ভোট, আরাফাত উদ্দিন (টেবিল ল্যাম্প) ৪৫১ ভোট, মো: নুরুল আলম (ডালিম) ৭৩ ভোট, মো: জাকের হোসেন (উটপাখি) ৪৯ ভোট । ৮নং ওয়ার্ডে প্রনব কুমার দাশ (ব্ল্যাক বোর্ড) ৯৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। অপর প্রার্থী ব্যোমপতি দাশ (ডালিম) ৭২০ ভোট, উত্তম কুমার কারন (উটপাখি) ১২১ ভোট,মো: নুরুন্নবী (পাঞ্জাবি) ৩১৮ ভোট। ৯নং ওয়ার্ডে বদিউল আলম (টেবিল ল্যাম্প) ৬৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়। অপর প্রার্থী দেলোয়ার হোছাইন(পাঞ্জাবি) ৪৮২ ভোট, কামরুল ইসলাম (উটপাখি) ৪০৭ ভোট, মুহিববুল্লাহ (ব্রিজ) ৪৯ ভোট, মো:ওমর ফারুক (ডালিম) ৯৬ ভোট, জয়নাল আবেদীন (ব্ল্যাক বোর্ড) ৪০ ভোট পায়।