বাঁশখালীর কৃর্তিসন্তান খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন। এর আগে সে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সিনিয়র সহকারি সচিব আরাফাত ৩৩ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের একজন চৌকশ কর্মকর্তা। সে সাধনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধকালীন “গ্রুপ কমান্ডার” মরহুম খোন্দকার মো.ছমিউদ্দীন এর মেঝ পুত্র। বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন একাডেমির পেশাগত প্রশিক্ষনে ৯ম স্থান অধিকার করে “সার্টিফিকেট অব এক্সিলেন্স” অর্জন করায় এবং সাফল্যের জন্য তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মেডেল ও সনদ গ্রহন করেন। বিসিএস প্রশাসন একাডেমির প্রশিক্ষণে ২য় স্থান অধিকার করে “সার্টিফিকেট অব মেরিট” অর্জন করেন এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা কোর্সে ১ম স্থান অধিকার করেন। ইতিপূর্বে চকরিয়া উপজেলায় সহকারি কমিশনার (ভুমি) হিসাবে কর্মরত থেকে উপজেলা ভূমি সেবায় ব্যাপক পরিবর্তন করেছেন। তাঁর দায়িত্বকালীন ২ বছরে চকরিয়া ভূমি অফিস-ডিজিটাল, সেবাবান্ধব ও নান্দনিক অফিস হিসাবে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রসংশসিত হয়েছে এবং তাঁর গৃহিত উদ্ভাবনী উদ্যোগসমূহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রকাশনা, বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। পেশাগত প্রশিক্ষণে তিনি বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমন করেছেন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা মোতাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে তিনি জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্ত হন। সর্বশেষ কর্মদক্ষতা, সঠিক পরিকল্পনা ও সততার জন্য তিনি এ পুরস্কারে মনোনীত হয়েছিলেন। শিক্ষা জীবনে তিনি বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগ থেকে বি.এসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইউএসটিসি থেকে কৃতিত্বের সাথে এমবিএ ডিগ্রী নেন। কর্মজীবনের শুরুতে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষকতা করে পরবর্তীতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ণ রিফাইনারি লিমিটেড-এ যোগদান করে ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত থাকাস্থায় সর্বশেষ ২০১৪ সালে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি ২ পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী একজন প্রকৌশলী এবং ৩২তম বিসিএস (সড়ক ও জনপথ) এ যোগদান করে বর্তমানে সড়ক বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত।