বাঁশখালীর বৈলছড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত বাঁধন সাংস্কৃতিক পরিষদ এর উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেন। এ আয়োজনের ১ম দিন অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনের সদস্যদের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা, ক্রীড়া, চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং বাঁশখালীব্যাপী বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নৃত্য ও সংগীত প্রতিযোগিতা । প্রায় ২৫০ প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি খুবই উপভোগ্য হয়েছিল। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন- জেলা শিল্পকলা একাডেমির নৃত্য প্রশিক্ষক স্বপন দাস, উচ্চাঙ্গ, নজরুল ও আধুনিক গানের শিল্পী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন অসীম চৌধুরী, সংগীত পরিচালক,আনন্দধারা সংগীত পরিষদ চট্টগ্রাম সুকুমার চৌধুরী। দ্বিতীয় দিনের আয়োজন ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম এর সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডাঃ প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন, শিশু পুষ্টিবিদ ও শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক (ডাঃ) সৈয়দ মেজবাহুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন, বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন, পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক সুমন সেন,পতেঙ্গা সিটি বালিকা কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলন আচার্য্য, বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও সংগঠক বিধান ভট্টাচার্য, এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে অঞ্জন কুমার দাশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাঁধন সাংস্কৃতিক পরিষদ এর সভাপতি হিরু ভট্টাচার্য। প্রধান অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম এর সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডাঃ প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, তাঁর বক্তব্যে বাংলার সাংস্কৃতিক বিবর্তনের প্রেক্ষাপট, প্রাসঙ্গিকতা এবং সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। প্রধান আলোচক মহোদয় তাঁর বক্তব্যে সুস্থধারার সংস্কৃতি চর্চার জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন বিশেষ প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। বিশেষ অতিথি ৬নং বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মুহাম্মদ কফিল উদ্দিন সুন্দর আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং এধরণের আয়োজনে সবসময় তিনি সামিল থাকবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। বাঁধন সাংস্কৃতিক পরিষদ যাত্রা শুরু করে ১৯৯৯ সালে ডিসেম্বরে। প্রতি বছর তাঁরা ১লা বৈশাখ উপলক্ষে নিয়ে আসে নানা আয়োজন। করোনাকালীন ২ বছর অনুষ্ঠান আয়োজন সম্ভব হয়নি। এবার ছিল বাঁধনের ২১তম বর্ষবরণ আয়োজন। এই আয়োজনের আকর্ষণীয় দিক ছিল সংগঠনের সদস্যদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত সমবেত সংগীত, দলীয় নৃত্য, অনু নাটক ও বৃন্দ আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে আগত অতিথি এবং দর্শকবৃন্দ অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য ও মানসম্মত হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন।