চট্রগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয় করার জন্য জায়গাটি ক্রয় করা হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। আর সে জায়গায় দলীয় অফিস করার তৎকালীন বিরোধী দলীয় সভানেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। দলের নানা দু:সময় কর্মীদের মাঝে হতাশার সাথে দলের সুনিদিষ্ট কার্যালয় না থাকায় সময়ে অসময়ে বসার সংকটটি ছিল চোখে পড়ার মত। আর সমস্যার কথা চিন্তা করে অফিস করার জন্য জোর সিদ্ধান্ত নিলেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। সে স্বপ্ন আজ বাস্তবে রুপ নিচ্ছে অচিরেই প্রধান শেখ হাসিনা এ কার্যালয় উদ্বোধন করবেন বলে দলীয় সুত্রে জানা যায়। তিন তলা কন্ডিশনের এ এসি ভবন দ্বিতল সম্পন্ন হওয়ায় পাশাপাশি অফিসের সামনে বসানো হয়েছে জাতির জনকের প্রতিকৃতি। প্রধান সড়কের পাশে বাউন্ডারি দেওয়ালে দেওয়া হবে জাতির জনকের বিভিন্ন কর্মকান্ডের প্রতিচ্ছবি, যার কাজ চলমান। জানা যায়, ১৯৭৩ সালে জায়গাটি দলের জন্য ক্রয় করা হয়। সে সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন সাধনপুরের জাকেরুল হক চৌধুরী আর সাধারন সম্পাদক ছিলেন বাহারছড়ার ছৈয়দুল হক চৌধুরী। বর্তমানে দু,জনই প্রয়াত। বাঁশখালীতে আওয়ামীলীগের সাংসদ ছিলেন শাহ-ই-জাহান চৌধুরী, এর পর এডভোকেট সুলতান উল কবির চৌধুরী। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে দ্বিতীয় বারের মত সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী । ১৯৯২ সালের ১৮ ডিসেম্বর তৎকালীন বিরোধী দলীয় সভানেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঁশখালী পরিদর্শনে এলে সে জায়গার দলের কার্যালয় করার জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। অফিস করার জন্য ইট সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা হলেও নানা কারনে তা হয়ে উঠেনি। পরবর্তীতে বর্তমান সাংসদ প্রথম বার ২০১৪ সালে প্রথম নির্বাচিত হলে প্রথম উদ্যোগ নিলে ও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে পরিত্যাক্ত এ জায়গায় সংস্কারে উদ্যোগ নিলে নানা বিরুপ প্রতিক্রিয়া হয় নানা ভাবে নানা কারণে। নিচু এ জায়গাটি ভরাট করে দলের কার্যালয় নির্মাণ শুরু করলে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণ ফিরে পায়। আওয়ামীলীগের কার্যালয় এর ব্যাপারে উপজেলা ওলামালীগের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আক্তার হোছাইন বলেন, চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের মত আর কোন কার্যালয় আছে কিনা আমার জানা নেই । দুকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ অফিস আওয়ামীলীগের কর্মীদের জন্য একটি বিশাল পাওনা । যা এমপি মহোদয় অর্থ ও মেধা দিয়ে গড়ে তুলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অধ্যাপক তাজুল ইসলাম বলেন,আমাদের দলের নেতাকর্মীদের বসার জন্য একটি সুনিদিষ্ট ঠিকানা বড়ই প্রয়োজন ছিল। আর সেটা দুই কোটি টাকা খরচ করে বাস্তবায়ন করে স্বপ্ন পূরণ করল বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। চট্টগ্রামে আর কোন উপজেলায় এ ধরনের অফিস এখন হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।
বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, তৎকালীন বিরোধী দলীয় সভানেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯২ সালের ১৮ ডিসেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর থেকে আমার স্বপ্ন ছিল দলের জন্য একটি আধুনিক অফিস করা। সকলের সহযোগিতায় এবং ভালবাসায় আমি সেটা করতে সক্ষম হয়েছি। আমার স্বপ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাশঁখালীতে এসে এ অফিস উদ্বোধন করবেন, যেখানে আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা একটা রুম করেছি এসিসহ। অনেকে এমপি হয়ে বাড়ি গাড়ি করে, আমি কিন্তু সেটা করেনি, আমি দলের জন্য কোটি টাকা ব্যয়ে করে একটা অফিস করেছি। এখন আমি মরেও শান্তি পাব আমার দলের নেতাকর্মীদের আমি একটা ঠিকানা করে দিতে পেরেছি বলে।