শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কৃত্রিম পানিতে সতেজ বাঁশখালীর চাঁদপুর বেলগাঁও চা-বাগান বাঁশখালী সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের শীতবস্ত্র বিতরণ বাঁশখালীর সরলে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে আলোচনা বিজয় দিবসে বাঁশখালী প্রশাসনের দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন বাঁশখালীতে জামায়াত যুব বিভাগের বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে সেফগাডিং এন্ড জেন্ডার ইনক্লুশন প্রশিক্ষণ বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারের পদোন্নতিতে বিদায় সংবর্ধনা বাঁশখালীতে মাংস প্রক্রিয়াজাত বিষয়ক কর্মশালা সম্পন্ন বাঁশখালীতে ৮ হাজার কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বাঁশখালীতে সহকারি শিক্ষিকা স‌বিতা সে‌নের রাজকীয় বিদায়

ফিরে আসা ছফওয়ানের ১৪ বছর আগের অজানা কথা !

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশিত : শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২
  • ৪১৫ জন পড়েছেন

দীর্ঘ ১৪ বছর পর বাড়িতে ফিরে মোঃ ছফওয়ান বলেন, আমি ২০০৮ সালে আমাদের মাদ্রাসার সামনে রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলাম। তখন একটা গাড়ি আসল, তখন তারা বল্লো তোমার নাম কি? তখন আমি বল্লাম আমার নাম ছফওয়ান, এরপর তারা বল্লো তোমার বাড়ি কোথায়? আমি বল্লাম আমার বাড়ি এইখানে, তারপর তারা আবার বললো বাঁশখালী ইকোপার্ক কোন দিকে তুমি চিন, তখন আমি বল্লাম চিনি। এরপর তারা আমাকে তাদের গাড়িতে তুলে ইকোপার্ক নিয়ে গেল। পরবর্তীতে আমি মনে করছিলাম তারা আমাকে বাড়ির সামনে রাস্তায় নামিয়ে দিবে। তারা আমাকে আমার বাড়িতে নামিয়ে না দিয়ে আমাকে ঢাকায় নিয়ে গেল। এরপর তারা আমার পাঞ্জাবী খুলে পেন্ট শার্ট পড়িয়ে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায়। দীর্ঘ ১৩-১৪ বছর তারা আমাকে রেস্টুরেন্টে কাজ করায়। পরবর্তীতে আমি ভারতে থাকা অবস্থায় এ.কে খান গ্রুপের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের নাগরিকতা তৈরি করে তাদের দেওয়া নাম অনুসারে স্মার্ট কার্ড বানিয়ে অনেক কস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসি।

এরপর বাংলাদেশে এসে এ. কে. খান গ্রুপে ৬-৮ মাস চাকুরী করি। পরবর্তীতে আমি আমার মা-বাবা বাড়ি ঘরের খবর নিয়ে আস্তে আস্তে আমি মালিককে বলে ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম আসি। চট্টগ্রামে এসে কিছু ই চিনতে পারছিনা। একটা সিএনজি কে বল্লাম আমি বাঁশখালী যাব কত টাকা নিবে। তখন সিএনজি ড্রাইভার আমাকে কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ নামিয়ে দেয়। এরপর দেখলাম কর্ণফুলী তত্তার ব্রীজ নেই। কিছু ই চিনতে পারতেছি না। আরেকটি সিএনজি ড্রাইভার কে বল্লাম আমি বাঁশখালী যাব। তখন সে আমার কাছ থেকে ৮০০ টাকা নিয়ে আমাকে বাঁশখালী নিয়ে আসল। তবু ও আমি কিছু ই চিনতে পারছি না। ড্রাইভার কে বল্লাম আমাদের বাড়ির একটা মাদ্রাসা আছে, পরপর জিজ্ঞাসা করে করে আমি মাদ্রাসার সামনে আসি। এরপর দুপুর থেকে এসে কিছুই চিনতে পারছি না। সব দেখি এলোমেলো। বিকেলে আমার ভাই মিজানের বাড়ি কোনটা, জিজ্ঞাসা করে বাড়িতে আসলাম। তখন কেউ দেখি আমাকে চিনতেছি না। পরবর্তীতে সবাই কে চিনতেছি। তারা ও আমাকে চিনতেছে। আমি আল্লাহ পাকের দরবারে হাজারো শুকরিয়া আদায় করি। আমি আমার মা -ভাই -বোন আত্বিয় স্বজন সবাইকে চিনতে পারছি। আজ আমি আমার দেশ গ্রামের মানুষ কে পেয়ে অনেক আনন্দিত হয়েছি। সবাই আমি এবং আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।

ভাইকে ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিক মিজান বিন তাহের বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পরে ভাইকে ফিরে পেয়ে পরিবারের সবার মাঝে আনন্দ চলছে। তবে বাবা বেঁচে থাকলে আরো বেশি খুশি হতেন। তিনি বলেন আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল বলে ভাইকে পেয়েছি আর কিছু চাইনা ।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
kallyan
error: Content is protected !!