বাঁশখালীর গুনাগুরিস্থ মাইশা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সংগঠনের বাঁশখালী শাখার আহ্বায়ক আয়কর আইনজীবী লায়ন শেখর দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন এবং চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ৮ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি মরহুম মো. জিল্লুর রহমান সাবেক পলিটিক্যাল এপিএস লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সংগঠনের বাঁশখালী শাখার সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রনেতা আজমীরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রমোদ বন্ধু চক্রবর্ত্তী ও সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মো. অলিদ চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ সাহাব উদ্দিন, মাহমুদুল ইসলাম বদি, লোকমান আহমেদ প্রমুখ। প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূলে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অবদান অনস্বীকার্য। উদ্বোধকের বক্তব্যে লেখক ও সাংবাদিক শওকত বাঙালি বলেন, ‘বাংলাদেশকে স্বাধীন করবার প্রস্তুতি বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই নিয়েছিলেন এবং সমগ্র জাতীকে অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে ঐক্যবদ্ধ করেছেন’ হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান নির্বিশেষে সকল বাংলা ভাষাভাষী মানুষ এই জাতীয়তাবাদকে অবলম্বন করে একজোট হয়েছে। এভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার বোধ নতুন মাত্রায় বাঙালিকে উজ্জীবিত করেছে। শুরুতে জাতীয় সংগীত এবং শেষে বাঁশখালী শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক প্রণব কুমার সিকদারের নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিল্পীবৃন্দ। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে লায়ন শেখর দত্তকে সভাপতি, আজমীরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।