বাংলাদেশের একমাত্র ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলার কয়েক লক্ষাধিক পূর্ণ্যার্থী ও সাধু সন্ন্যাসীদের অংশ গ্রহনে দীক্ষাদানের মাধ্যমে যবনিকা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ সহ¯্রাধিক পূণ্যার্থী “দীক্ষাদান অনুষ্টানের” মাধ্যমে সকল ধর্মীয় কার্যাদির পরিসমাপ্তি ঘটেছে । চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ঋষিধামে প্রতি ৩ বছর পর পর অনুষ্টিত হয় দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলা। শেষ মুহুর্তের এ মেলাকে ঘিরে বাঁশখালীর কালীপুরের ঋষিধাম প্রাঙ্গন লোকে লোকারন্য হয়ে পড়েছে। বাঁশখালীর মুল সড়ক সকাল থেকে দীর্ঘ যানজট। ভক্তরা দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে কুম্ভমেলার মুল মন্দিরে যেতে হয়েছে। কুম্ভমেলাকে ঘিরে শেষদিনের কর্মসুচীতে অন্যান্য কর্মসুচীর পাশাপাশি ছিল ‘ বিশ্বকল্যাণে ভুবনমঙ্গল গীতাযজ্ঞ’ এবং সমাগত ঋষি তপস্বী, সাধু সন্ন্যাসী, বৈঞ্চব ও ভক্তবৃন্দের পদরজ: গ্রহন। মাঙ্গলিক এসব অনুষ্ঠানের পৌরোহিত্য করেন ঋষিধাম ও তুলশীধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ। অতিথি মহারাজ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত নির্বাণপীঠাদীশ্বর আচার্য্য মহাম-লেশ্বর রাজগুরু শ্রীমৎ স্বামী বিশোকানন্দ ভারতীজী মহারাজ, কোলকাতা আদ্যাপীঠের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বপরিব্রাজক ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই, ভারতের বৃন্দাবন সীতারাম আশ্রমের শ্রীমৎ নীলমণি মহারাজজী, কোলকাতা চিন্ময় মিশনের শ্রীমৎ দিবাকর চৈতন্যজী মহারাজ, কোলকাতা বারাসাত শংকর বেদান্ত মঠ ও মিশনের শ্রীমৎ সঞ্জয় গোঁসাইজি মহারাজ,ভারতের গুজরাট রাজস্থানের মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী অজয়ানন্দ পুরী মহারাজ,ভারতের হরিদ্বারের যোগগুরু শ্রীমৎ রামজী মহারাজ,ভারতের বৃন্দাবনের শ্যাম সুন্দর দাস বাবাজী ও ভারতের বেনারসের শ্রীমৎ স্বামী স্বরুপানন্দ মহারাজ।এই ছাড়াও দেশ বিদেশের বিভিন্ন মঠ মন্দির থেকে আগত প্রায় কয়েক হাজার সাধু, সন্ত, মোহন্ত, সন্ন্যাসী মহারাজবৃন্দরা অংশ গ্রহণ করেন।
এদিকে মেলাকে ঘিরে দেশ বিদেশের সহ¯্রাধিক সাধু সন্ন্যাসীর পাশাপাশি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি, শিক্ষা উপ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সাবেক রাষ্ট্রপতি হোছাইন মো: এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদুত ড.নিমচন্দ্র ভৌমিক, বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এর ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার পাল, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের ঢাকা মহানগরের সভাপতি মনিন্দ্র কুমার নাথ, সাধারন সম্পাদক রমেন মন্ডল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি লায়ন জে.এল. ভৌমিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেলাকে সফল সফল ও সার্থক করার জন্য বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী,বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: কামাল উদ্দিন (পিপিএম), কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.ন.ম শাহাদত আলম সার্বক্ষনিক তদারকি ও দায়িত্ব পালন করেন। মেলার আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান এবার মেলায় ২৫/৩০ লক্ষাধিক লোকের বেশি সমাগম হয়েছে হয়েছে ১১দিনব্যাপী মেলায়। আগত সাধু সন্ন্যাসী ও পূণ্যার্থীদের শুভেচ্ছা ও সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ঋষি কুম্ভ ও কুম্ভ মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুকুমার চৌধুরী, ঋষি কুম্ভ মেলা উৎযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ বরুণ দাশ, অর্থ সম্পাদক তড়িৎ গুহ, ঋষি কুম্ভ মেলা উৎযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী তাপস কুমার নন্দী ও সমন্বয়ক সুব্রত দেব। মেলার কমিটির সদস্য ও বাঁশখালী পুজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি প্রদীপ কুমার গুহ বলেন,মহারাজের অশেষ কৃপায় সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় দেশের একমাত্র ঋষিকুম্ভ ও কুম্ভমেলার সফল সমাপ্তি হয়েছে ।