চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উত্তর জলদী প্রজ্ঞাদর্শন মেডিটশন সেন্টারের প্রতিষ্টাতা পরিচালক ভদন্ত জ্ঞানেন্দ্রিয় স্থবিরের মহাস্থবির বরণ অনুষ্টান ও সদ্ধর্মসভা গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী অনুষ্টান মালার মধ্যে অনুষ্টিত হয়। সকালে বুদ্ধ পুজা, সীবলী পুজা সহ অষ্ট উপকরণ সহ মহাসংঘদান পরে বিকালে বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু অগ্রমহাপন্ডিত মহামান্য সংঘরাজ শ্রীমৎ জ্ঞানশ্রী মহাথের এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপসংঘরাজ শ্রীমৎ শাসনপ্রিয় মহাথের, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপসংঘরাজ প্রিয়দর্শী মহাথের, বিদর্শণ সাধক শ্রীমৎ রত্নপ্রিয় মহাথের, শ্রীমৎ বিনয়পাল মহাস্থবির, উত্তর চট্টগ্রামের শ্রীমৎ দেবমিত্র মহাথের, ভারত থেকে আগত শ্রীমৎ অতুলানন্দ মহাথের।
ভদন্ত শীলেন্দ্রিয় ভিক্ষুর সঞ্চালনায় সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করেন চট্টগ্রামের মোটলটুলী শাক্যমনি বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত তিলোকাবংশ মহাস্থবির, প্রধান জ্ঞাতি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগীয় প্রধান ড.জ্ঞানরত্ন মহাথের, প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ড.সংঘপ্রিয় মহাথের,মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাবেক মহাসচিব সদ্ধর্মকোবিদ এস. লোকজিৎ মহাথের.ধর্মদেশনা করেন বিদর্শণ সাধক প্রজ্ঞেন্দ্রিয় মহাথের, প্রজ্ঞারত্ন মহাথের, বোধিমিত্র মহাথের,প্রিয়রত্ন মহাথের প্রমুখ। উক্ত ভদন্ত জ্ঞানেন্দ্রিয় স্থবিরের মহাস্থবির বরণ অনুষ্টান ও সদ্ধর্মসভায় শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরন করে জাপান ,থাইল্যান্ড,বাঁশখালী বৌদ্ধ সমিতিসহ সহ দুতাবাসের পক্ষ থেকে। এতে তিন শতাধিক ভিক্ষু সংঘ ও কয়েক সহ¯্রাধিক উপাসক উপাসিকা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন , যারা ধর্ম চর্চা করেন তারা কখন ও বিপদে প্রতিত হতে পারে না। ধর্ম অনুশীলন কারিরা অন্যায় করতে পারেনা, সৎ ও ন্যায় পথে পরিচালিত হয়। সবাই সৎ ও ন্যায় পথে পরিচালিত হতে ধর্মের অনুশীলন করার আহবান জানানো হয় ।