চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিনকে আবারো চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কর্তৃক সন্মাননা প্রদান করা হয়েছে । সম্প্রতি সাহসিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পদক প্রাপ্তি এবং এর আগে তিনবারের মত অপরাধ রোধ ও আইনশৃংলা দমনে চট্টগ্রাম জেলায় শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন। গত রবিবার রাতে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধারে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ তিন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন ও কর্মক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক অর্জনকারী কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা প্রদান করেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ্ বিপিএম। তারই একজন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন। এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধারে তিন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। দেশপ্রেম ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন, মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭ জন অফিসার-ফোর্স পদক লাভ করেন তারা হলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ্ বিপিএম-‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২২ (আইজি’জ ব্যাজ)’,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান-‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২২ (আইজি’জ ব্যাজ),সহকারী পুলিশ সুপার, রাঙ্গুনিয়া সার্কেল (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ আনোয়ার হোসেন-‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সাহসিকতা, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন-‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সাহসিকতা, রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল হারুন-‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২২ (আইজি’জ ব্যাজ), সীতাকু- মডেল থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ মোতাহের হোসেন-‘পুলিশ ফোর্স এক্সেমপ্লারি গুড সার্ভিস ব্যাজ-২০২২ (আইজি’জ ব্যাজ),কনস্টেবল মোঃ তুহিন হোসেন-‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সাহসিকতা’ অর্জন করেন। উল্লেখ্য বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন গত বছর ১৩ অক্টোবর বাঁশখালী থানায় যোগদান করেন। এর পর থেকে তিনি নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং সর্বশেষ জানুয়ারিতে জেলার শ্রেষ্ট ওসি নির্বাচিত হয়।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “অপরাধ রোধ করা আমাদের কাজ। বিশাল এলাকা জুড়ে বাঁশখালীর অবস্থান। এখানকার সাধারণ জনগণ যাতে শান্তিতে থাকতে পারে, অপরাধীরা যাতে কোনো অপরাধ করতে না পারে সেই জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি। আগামীতেও আমার এ কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, কাজের স্বীকৃতি সবসময় আনন্দের। পরপর তিনবার চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ট অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নির্বাচিত হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। পাশাপাশি আমার প্রিয় সহকর্মী ও প্রিয় বাঁশখালী বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।