শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কৃত্রিম পানিতে সতেজ বাঁশখালীর চাঁদপুর বেলগাঁও চা-বাগান বাঁশখালী সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের শীতবস্ত্র বিতরণ বাঁশখালীর সরলে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে আলোচনা বিজয় দিবসে বাঁশখালী প্রশাসনের দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন বাঁশখালীতে জামায়াত যুব বিভাগের বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে সেফগাডিং এন্ড জেন্ডার ইনক্লুশন প্রশিক্ষণ বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারের পদোন্নতিতে বিদায় সংবর্ধনা বাঁশখালীতে মাংস প্রক্রিয়াজাত বিষয়ক কর্মশালা সম্পন্ন বাঁশখালীতে ৮ হাজার কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বাঁশখালীতে সহকারি শিক্ষিকা স‌বিতা সে‌নের রাজকীয় বিদায়

জাতীয় চা দিবসে সতেজ বাঁশখালী চাঁনপুর বেলগাঁও চা বাগান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশিত : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩
  • ২০৩ জন পড়েছেন

চা শিল্প দেশের অর্থনীতিতে দিন দিন অবদান রেখে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৪ জুন তৃতীয় জাতীয় চা দিবস উদযাপন এবং যারা চা শিল্পে অবদান রেখে চলেছে তাদের নানা ভাবে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পুরস্কৃত করা হচ্ছে । ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকা কালে এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে চা শিল্পে বঙ্গবন্ধু অবদান রাখেন। বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৪ জুন কে জাতীয় চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

“চা দিবসের সংকল্প শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প ” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হবে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে পালন করা হবে জাতীয় চা দিবস।
জাতীয় চা দিবসে বাংলাদেশ টি এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চ এর চেয়ারম্যান এবং বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো: আবুল বাশার বলেন, আমরা সব সময় শ্রমিকদের নাগরিক সুযোগ সুবিধা চিন্তা করেই কর্ম পরিকল্পনা করে থাকি। তারা কষ্ট করে বলেই চা শিল্প আজ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে নিজস্ব মান নিয়ে। এদিকে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের চলতি বছরের চা পাতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার কেজি। দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টির দেখা না পাওয়াতে কৃত্রিম ভাবে পানি দিয়ে সতেজ রাখা চা বাগানে বৃষ্টির দেখা মিলাতে সে লক্ষ্য মাত্রায় পৌঁছানোর জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে পাতা। অপরদিকে বাঁশখালীর ৩ হাজার ৪ শত ৭২.৫৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই চা বাগানটির ৭২০ একর ভুমিতে চা চাষ হচ্ছে বলে জানান বাগান কর্তৃপক্ষ। আর তাতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চা বাগানের কর্মরত ৭শতাধিক শ্রমিকেরা। ৭২০ একর ভুমিতে চা চাষ করে সে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করলেও বিগত জানুয়ারি ফেব্রয়ারি দু, মাস চা বাগানের মেইন টেইনেন্স, কিনিং সহ বাগানের উন্নয়নে নানা মুখী কাজ পরিচালনা করা হয়।

বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের বিশাল সবুজের সমারোহ দেখার জন্য পর্যটক ও দর্শনাথীদের আনাগোনায় মুখর থাকে। গত ঈদে চা বাগান এলাকায় ভ্রমন পিপাসু লোকে লোকারণ্য ছিল। বৃষ্টির দেখা না মিললেও গভীর নলকুপ থেকে তুলে প্রতিদিন সর্বত্র ছিটানো হচ্ছে পানি আর তার ফলে সবুজের সমারোহে ছেয়ে গেছে চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের বাগান। চা বাগানে কচি পাতা আর কোন চা উৎপাদন করায় এই বাগানটি বর্তমানে দেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানে রয়েছে। বাঁশখালীতে অবস্থিত ৩ হাজার ৪ শত ৭২.৫৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই চা-বাগানটির দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। প্রতিদিন ৭ শতাধিক শ্রমিক এই চা বাগানে তাদের শ্রমের মাধ্যমে নতুন পাতা উৎপাদন ট্রেসিং থেকে শুরু করে চা-বাগানের সামগ্রিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চা বাগানের অভ্যন্তরে ৭ শতাধিক কর্মচারী নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা সহ অন্যান্য সার্বিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে বলে জানান চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো:আবুল বাশার। তিনি জানান বৃষ্টি কম হওয়ায় পাতা উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি হলেও চা-বাগান কর্তৃপক্ষ নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিদিন বাগানের সর্বত্র আধুনিক উপায়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কচি পাতা গজে উঠছে। বর্তমানে সামান্য বৃষ্টি হওয়াতে তা আরো সতেজ হচ্ছে। বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের চা পাতা সারা দেশে সুখ্যাতি রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন যত বৃদ্ধি পায় সরকার রাজস্ব তত বেশি পায়। বর্তমানে চা পাতার বিক্রিত অর্থ থেকে সরকার ১৫% হারে ভ্যাট পান। তবে তিনি বাগানের কিছু সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, চা বাগানের চার পাশে ঘেরা বেড়া না থাকায় প্রতিদিন হাতির পাল চা বাগানে ছুটে আসে। ফলে শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রায় সময় শংকিত অবস্থায় থাকে। বাগানে আসা যাওয়ার সড়কটি অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছে। সরকারী এই রাজস্ব আয়ের অন্যতম চা-বাগানের যাতায়াতের সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করার জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
kallyan
error: Content is protected !!