বাঁশখালীতে মিথ্যা মামলায় হয়রানির হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে শুক্রবার বিকেলে । বাঁশখালী উপজেলা সদরের একটি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী টুটুন চক্রবর্ত্তী বলেন, বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী ৬নং ওয়ার্ডের মৃত অনিল কান্তি রুদ্রের পুত্র শিমুল কান্তি রুদ্রের নিকট থেকে ১০.১৭ শতক জমি আমি এবং আমার শরিকদার আবুল কাশেম যৌথভাবে খরিদ করি। খরিদের পর উক্ত জায়গায় সেমিপাকা বসতঘর নির্মাণ করে সেখানে ভাড়া প্রদান করি। কিন্তু সম্প্রতি উক্ত জায়গায় অনৈতিক দাবী তুলে একই এলাকার বাবুল শীলের স্ত্রী মালতি সুশীল। উক্ত আমাদের খরিদা জায়গাটি দখলের জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তারা আমাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
আমি ভুক্তভোগী টুটুন চক্রবর্ত্তী সনাতনী সম্প্রদায়ের ব্রাহ্মন পরিবারের সদস্য এবং সনাতনী বিভিন্ন সংগঠনেও নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। কিন্তু উক্ত তারা ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে দেখা যাচ্ছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও হয়রানিমূলক দাঁড়িয়েছে। উক্ত বিষয়ে বাঁশখালী থানায়ও প্রায় ৪ বার বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যথাসময়ে আমরা বৈঠকে হাজির হলেও তারা হাজির হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। সর্বশেষ বাঁশখালী পৌরসভার ৩ জন কাউন্সিলর ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিসহ ৪ জন সার্ভেয়ার দ্বারা ডিজিটাল পরিমাপের মাধ্যমে অধীন ভুক্তভোগী ও আমার শরিকদার ক্রয়কৃত সম্পত্তি ও বিরোধীয় দাগ নির্ণয় করে দেন এবং যতটুকু জায়গা ওই তপশীলে ক্রয় করেছে ততটুকু জায়গা ইতিপূর্বে সে বিক্রয় করিয়া দিয়াছে ও বিরোধীয় দাগে আর কোন স্বত্ব নাই মর্মে সার্ভেয়ারগণ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘পৌরসদরের ৬নং ওয়ার্ডে সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের দুই পক্ষের মধ্যে জায়গা বিরোধ নিয়ে সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে একাধিক সালিশী বৈঠক করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে লিখিত অভিযোগও আমার হাতে রয়েছে। যা তদন্ত করা হচ্ছে।’