বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কৃত্রিম পানিতে সতেজ বাঁশখালীর চাঁদপুর বেলগাঁও চা-বাগান বাঁশখালী সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের শীতবস্ত্র বিতরণ বাঁশখালীর সরলে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে আলোচনা বিজয় দিবসে বাঁশখালী প্রশাসনের দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন বাঁশখালীতে জামায়াত যুব বিভাগের বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সমাবেশ বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে সেফগাডিং এন্ড জেন্ডার ইনক্লুশন প্রশিক্ষণ বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তারের পদোন্নতিতে বিদায় সংবর্ধনা বাঁশখালীতে মাংস প্রক্রিয়াজাত বিষয়ক কর্মশালা সম্পন্ন বাঁশখালীতে ৮ হাজার কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ বাঁশখালীতে সহকারি শিক্ষিকা স‌বিতা সে‌নের রাজকীয় বিদায়

কৃত্রিম পানিতে সতেজ বাঁশখালীর চাঁদপুর বেলগাঁও চা-বাগান

কল্যাণ বড়ুয়া
  • প্রকাশিত : বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ১১ জন পড়েছেন

দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র চা বাগানটি বাঁশখালীর পুকুরিয়ায় অবস্থিত। বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের চলতি বছরের চা পাতা উৎপাদনের লক্ষামাত্র ধরা হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ কেজি। বাঁশখালীর ৩ হাজার ৪ শত ৭২.৫৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই চা বাগানটির প্রায় ৮০০শত একর ভুমিতে চা চাষ হচ্ছে। বিগত অনেকদিন যাবত বৃষ্টি না হওয়াতে বর্তমানে কৃত্রিম উপায়ে পানি সেচ দিয়ে চা বাগান সতেজ রাখা হলেও একদিকে চা পাতার দাম কম অপরদিকে চা বাগানের একমাত্র সড়কটি ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে ভোগান্তিÍ হচ্ছে বলে জানান চা বাগান কর্তৃপক্ষ। বিগত বছর নিলামে চা পাতা কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা হলেও এবার সে দামে প্রায় ২০০ টাকায় নেমে এসেছে বলে সুত্রে জানা যায়। একদিকে চা পাতার দাম কমে যাওয়া অপরদিকে জেনারেটর চালিত মোটর দিয়ে সারা চা বাগান জুড়ে কৃত্রিম উপায়ে পানি দিয়ে চা বাগান সতেজ রাখাতে অনেক তেলের প্রয়োজন হয় বলে জানান বাগান কর্তৃপক্ষ। চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকা ভুমি কর এবং চা পাতার বিক্রিত অর্থ থেকে সরকার ১৫% হারে ভ্যাট অনুসারে প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার। অথচ এ চা বাগানে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি অর্ধেক কাঁচা অর্ধেক ইট বিছানো হলেও চলাচলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
চা বাগানের দৃশ্য ও কার্যক্রম দেখার জন্য প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে নানা শ্রেনীর দর্শনার্থী সহ সরকারি বেসরকারি লোকের আনা গোনায় মেতে থাকে সারাক্ষণ। অথচ পুকুরিয়া চৌমুহনী থেকে অভ্যান্তরীন আড়াই কিলোমিটার সড়ক পার হয়ে এ চা বাগানের অভ্যান্তরে প্রবেশ করতে হয়। বিগত ৩/৪ বছর আগে আড়াই কিলোমিটার সড়ক থেকে এক কিলোমিটার কার্পেটিং করা হয়। এক কিলোমিটারের সড়কে ইট থাকলে ও তা উঠে গিয়ে গাড়ি চলাচলে চরম ভাবে ভোগান্তি হয়। আর আধাঁ কিলোমিটার কাচাঁ সড়কে বৃষ্টি আসলে গাড়ি চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। চা বাগানের প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া এ সড়কে চরমভাবে ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে জানান সেখানে বেড়াতে আসা দুর দুরান্তরের দর্শনার্থী এবং চা বাগান কর্তৃপক্ষ। বাঁশখালীর চা বাগানে কচি পাতা আর কোন চা উৎপাদন করায় এই বাগানটি বর্তমানে দেশের অন্যতম শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশীয় চা সংসদ চট্টগ্রাম ব্রাঞ্চের চেয়ারম্যান ও বাঁশখালীর চাঁদপুর বেঁলগাও চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো:আবুল বাশার বলেন, প্রতিবছর ৫০ একর জায়গা চা চাষের আওতায় আনা হয়। তাই দিন দিন চা উৎপাদের আওতায় আসছে নতুন নতুন এলাকা। সিটি গ্রুপ পরিচালিত এ চা বাগানটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র চা বাগান। চা বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর কয়েক লক্ষ টাকা ভুমি উন্নয়ন কর এবং চা পাতার বিক্রিত অর্থ থেকে সরকার ১৫% হারে ভ্যাট অনুসারে প্রায় দেড় থেকে ২ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে সরকার। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এ চা বাগানটির যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারনে আমাদের ভোগান্তি পড়তে হয় চলাচলে। এছাড়া এখানে প্রায় সময় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্ব কর্মকর্তা ও নানা শ্রেনীর দর্শনার্থী আসে। রাস্তার কারণে তাদের ও ভোগান্তি হয়। বিগত ৩/৪ বছর আগে এক কিলোমিটার সড়ক সংস্কার হলেও বাকী দেড় কিলোমিটারের সড়ক সংস্কার না হওয়াতে নানা ভাবে সমস্যায় রয়েছি বলে তিনি জানান। সরকারী এই রাজস্ব আয়ের অন্যতম চা-বাগানের যাতায়াতের সড়কটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করার জন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বাগানে উৎপাদিত কোন চা স্স্বুাদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন,চা বাগান সড়কটি সংস্কারের জন্য া বরাদ্দ চেয়ে ডিআর প্রকল্প-২ প্রদান করা হয়েছে। আশা রাখি প্রকল্প অনুমোদন হলে গুরুপ্তপুর্ন সড়কটি সংস্কার করতে পাবর বলে তিনি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
kallyan
error: Content is protected !!