বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাঁশখালী উপজেলা শাখার উদ্যোগে মহান আন্তর্জাতিক মে দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে বাঁশখালী প্রধান সড়কের পৌরসভার মিয়ার বাজার কলেজ গেইট থেকে শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য র্যালিটি বাঁশখালী থানা পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মিলিত হয়। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাঁশখালী উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা জোবায়ের আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী, বাঁশখালী উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ বদরুল হক। উপজেলা শ্রমিক কল্যাণের সহ-সেক্রেটারী কাজী এমরান এর পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইসমাইল, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দক্ষিণ জেলার সেক্রেটারী মোকতার হোসাইন সিকদার, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যক্ষ আরিফ উল্লাহ।
সভায় বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলাম,শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাঁশখালী উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত শ্রমিক দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন হলে শ্রমিক তার পূর্ণ অধিকার ফিরে পাবে। ফ্রি চিকিৎসা সেবা,রেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিৎ হবে। বাঁশখালীর সংকীর্ণ সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি শ্রমিকরা পরিবারের আহার জোগার করতে রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার ওপর পুলিশ প্রশাসন গাড়ী ধরে শ্রমিকদের মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। এতে শ্রমিকদের আত্মহত্যার পথ ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। সরকার একদিকে শ্রমিকদের লাইসেন্স দিবেন না, আবার গাড়ী আমদানীও বন্ধ করবেন না। এটা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া কিছুই না। শ্রমিকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স প্রাপ্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।’ বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনকে লক্ষ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘বাঁশখালী আপনাদের লিভিং ল্যান্ড। আপনারা বাঁশখালীর মানুষকে হয়রানী না করে সুন্দর সার্ভিস দিবেন। আমাদের লবণ শ্রমিকরা আজ তাদের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে আপনাদের উধ্বর্তনকে জানাতে হবে। শ্রমিক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ এ সময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
কল্যাণ বড়ুয়া