দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কেনাকাটার ধুম পরেছে। ঈদের আমেজে যেন সামাজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ! কেনাকাটা করতে বাজারগুলোতে শত শত মানুষের ভিড়ে জনসমাগমের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক পড়া নিশ্চিতের জন্য বার বার নির্দেশ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বাজারে স্বাস্থ্য বিধি না মানায় কিছু দোকান মালিককে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হলেও শেষ মুর্হুতের ঈদ বাজারে চলছে বিরামহীন বেচাকেনা। এ সময় অনেককে মাস্ক বিহীন ও স্বাস্থ্য বিধি বা দূরত্ব মেনে ক্রেতাদের চলাচল ও কেনাকাটা করতে দেখা যায়নি। অন্য বছর করোনা না থাকাকালীন সময়ে সাধারন জনগন সহজে চট্টগ্রাম শহর সহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নানা ভাবে ঈদ বাজার করলেও এ ভচর সে সুযোগ না থাকায় করোনার ভয় উপেক্ষা করে স্থানীয় বাজারও দোকান পাট গুলোতে উপচে পড়া ভিড় করছে। সাধারণ জনগনের মাঝে করোনা সংক্রান্ত কোন ধরনের ভয় বা ভীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে, দেশে করোনা নামে কোন কিছু নেই। স্বাভাবিক সময়ের মত মানুষ চলাচল করছে বাজারগুলোতে। এদিকে লকডাউন খুলে দেওয়ায় সড়কে যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত চাপ লক্ষ করে গেছে। বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সড়কের বেশ কিছু স্থানে যানজট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাঁশখালীর পুকুরিয়া চৌমহী থেকে শুরু করে, সাধনপুর, কালীপুর, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, বৈলছড়ি, কাথরিয়া,সরল,পৌরসদর জলদী, শীলকুপ, চাম্বল, গন্ডামারা, শেখেরখীল, ছনুয়া ও পুইছড়ি এলাকার অভ্যন্তরীন ও প্রধান সড়ক এলাকার দোকান গুলোতে শেষ মুহুর্তের বেচাবিক্রির চাপ বেড়েছে।
শীলকুপের টাইম বাজারের ক্রেতা আবুল কাশেম জানান, “ঈদের কারণে তারা বাজারে কেনাকাটা করতে এসেছেন।অন্য বছর শহর থেকে করা হলেও ও এবার সে সুযোগ না থাকায় এখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র কিনে নিচ্ছেন । পৌরসদর জলদীর লক্ষী স্কয়ারের লাকী প্লাজার ব্যবসায়ী হাসান নুর জানান প্রথমে বাজারে ক্রেতা কম থাকলেও শেষ মুহুর্তে কিছু বেড়েছে । তবে অধিকাংশ ক্রেতা স্বাস্থ্য সচেতন নয় । তাদের বার বার বলার পরও মাস্ক পরে না। ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন সিকদার বলেন, ঈদের কারণে গত কয়েকদিনের চেয়ে শেষ মুহুর্তে বাজারে ক্রেতাদের চাপ দেখা গেছে। কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি বা মাস্ক পরলেও অনেকেই মাস্ক ছাড়া বাজারে এসেছেন। আইনশৃংখলার ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, ঈদকে সামনে রেখে যাতে কোথাও অপ্রীতিকর কোন কিছু না হয় তার জন্য পুলিশের বিশেষ মোবাইল টিম বাজারে কাজ করছে । বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন,সাধারণ জনগনকে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার জন্য নানা ভাবে প্রচারণা ও মোবাইল কোর্ট করা হচ্ছে। জনসাধারণ স্বাস্থবিধি না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠিন ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি জানান।