শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পুকু‌রিয়া নাটমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত‌্যা‌গের দাবী‌তে বিক্ষোভ বাঁশখালীর চা বাগানের নতুন স্কুল ভবনের নির্মানাধীন কক্ষ ভাংচুরের অভিযোগ বাঁশখালীতে ইপসার প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত বাঁশখালীতে সংঘরাজের স্মরণসভা ও উপসংঘরাজ ধর্মদর্শী মহাস্থবিরের সংবর্ধনা সভা বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যনদের শপথ গ্রহন সম্পন্ন বাঁশখালীতে সাবেক সাংসদ সুলতান উল কবিরের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা বাঁশখালীতে পাহাড়ধসের ক্ষতি কমাতে কাজ করবে ইপসা ও সেভ দ্য চিলড্রেন বাঁশখালীতে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ বাঁশখালী বৈলছড়ির ঢালা সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন

বাঁশখালীতে নজির আহমদ কলেজ সেরা, শত ভাগ পাস ৩টি মাদ্রাসায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৪৪৫ জন পড়েছেন

বাঁশখালীতে এইচএসসি তে ৬টি কলেজে ২৫১১ জন পরীক্ষাথীর মধ্যে ২২০২ জন পরীক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩ জন পরীক্ষার্থী । অপরদিকে ১১টি মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষায় ৬৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬২৮ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন । বাঁশখালীর ছয়টি কলেজের মধ্যে এবারও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে মাস্টার নজির আহমদ কলেজ। পাশের হার ৯৭.৮৪। এ কলেজের ২৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭১জনই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। গতকাল প্রকাশ করা চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ফলাফলে এমন তথ্য পাওয়া যায়। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ। এ কলেজের পাশের হার ৮৮.৬৭। বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজে ৬০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৪০ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন। উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজের ৪৮৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪১৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে আটজন। পাশের হার ৮৬.৩৪। সরকারি আলাওল ডিগ্রী কলেজে ৭৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৪২জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬জন। পাশের হার ৮৫.৮৯। বাঁশখালী গার্লস কলেজে ৩০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৫৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। পাশের হার ৮৪.০৯। বরুমছড়া হাজীগাঁও স্কুল এন্ড কলেজে ৪০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৩জন। কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ না পেলেও পাশের হার ৮২.৫০। অপরদিকে ১১টি মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষায় আহমদিয়া (রা) সিনিয়র মাদ্রাসায় ৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯ জনই পাস করেছে , জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পুকুরিয়া আনসারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসায় ৭৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৬ জনই পাস করেছে। পুঁইছড়ি ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় ১০১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০০ জনই পাস করেছে , জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। রংগিয়াঘোনা মনছুরিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৩২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ জনই পাস করেছে , জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। বাঁশখালী হামেদিয়া র: আলিয়া মাদ্রাসায় ৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩২ জনই পাস করেছে । পশ্চিম বাঁশখালী গন্ডামারা রহমানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ৫০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮ জনই পাস করেছে। জলদী হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসায় ১৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৯ জনই পাস করেছে , জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। যাতানুরাইন সিনিয়র মাদ্রাসায় ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৭ জনই পাস করেছে , জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। চাঁদপুর কাদেরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ জনই পাস করেছে , জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। পালেগ্রাম হাকিমমিঞা সিনিয়র মাদ্রাসায় ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ জনই পাস করেছে। শেখেরখীল ডিএসএ সিনিয়র মাদ্রাসায় ৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৫ জনই পাস করেছে , জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। মাদ্রাসা পর্যায়ে ১১টি মাদ্রাসার মধ্যে আলিম পরীক্ষায় আহমদিয়া (রা) সিনিয়র মাদ্রাসা, পালেগ্রাম হাকিমমিঞা সিনিয়র মাদ্রাসা ও শেখেরখীল ডিএসএ সিনিয়র মাদ্রাসা শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, করোনার কারণে সারাদেশে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার পর বাঁশখালীর শিক্ষার্থীদের এ ফলাফল হতাশার মাঝে আলো বলা যায়।

 

বাঁশখালীর সর্বদক্ষিণে অবস্থিত মাস্টার নজির আহমদ ডিগ্রী কলেজের এবার সবার সেরা হওয়ায় অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বলেন, ২৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭১ জনই পাশ করেছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে আমাদের কলেজ। শিক্ষার্থীদের প্রতি বাড়তি নজরের কারনেই এমন প্রশংসনীয় ফলাফল অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্রতি সপ্তাহ, মাসিক, ত্রৈমাসিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করা হয়। দূর্বল শিক্ষার্থীদের বাড়তি নজর দেয়া হয়। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও গভর্নিং বডির সাথে সমন্বিত উদ্যোগের কারনেই এই কলেজ ফলাফলে এগিয়ে থাকে। তিনি বলেন, ২০১০ সালে প্রথম এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল করে আসছে মাস্টার নজির আহমদ কলেজ। করোনার আগেও সবসময় প্রথম স্থানে ছিল কলেজটি। কলেজের লেখাপড়ার মানোন্নয়ন ছাড়া কোন বিষয়েই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের কেউ হস্তক্ষেপ করে না। আমরা অভিভাবকদের সাথে প্রতি তিনমাস ও ছয়মাস পরপর মূল্যায়ণ সভা করে শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা প্রদান করি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
kallyan