চট্টগ্রামের স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন সংগঠন ইপসার উদ্যোগে ছনুয়া ও পৌরসভার জলদীর স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে দূর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস ও স্বেচ্ছাসেবক সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ গত শনিবার অনুষ্টিত হয়। বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে ইপসার আয়োজনে আন্তজার্তিক উন্নয়ন সংস্থা কাইমেট জাষ্টিস রেসিলিয়েন্ট ফান্ডের সহায়তায় “ বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু পরিবর্তন জনিত স্থানচ্যুত জনগোষ্ঠীর অধিকার ও প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিতকরণ” প্রকল্পের আওতায় দূর্যোগে ঝুঁকি হ্রাস ও স্বেচ্ছাসেবক সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার । তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি দুর্যোগ প্রবন এলাকা । তাই এ এলাকার জনগন যতবেশি সচেতন ও সক্রিয় থাকবে তত বেশি দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবে । আর এ দুর্যোগ কালীন সময়ে যে সব স্বেচ্ছাসেবক স্বেচ্ছায় মানুয়ের পাশে সেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসে তার্ ামানবিক কর্মী হিসাবে গন্য হয়। তিনি দুর্যোগে ইপসার স্বেচ্ছাসেবকদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। ইপসার রিসেটেলম্যান্ট অফিসার আব্দুল কাইয়ুম শিকদারের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্টিত প্রশিক্ষণে অনুষ্টানে প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় পরিচালিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত্তি কর্মসুচী (সিপিপির) বাঁশখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক সমন্বয়কারি ও প্রশিক্ষক কল্যাণ বড়–য়া ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত্তি কর্মসুচী (সিপিপির) বাঁশখালী অফিসে দায়িত্বরত প্রশিক্ষক মিঠু কুমার দাশ। ইসপার কর্মকর্তারা আবিদা সুলতানা সহ অন্যান্য অতিথিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ইপসা আন্তজার্তিক দাতা সংস্থা কাইমেট জাস্টিস রেজিলিয়েন্ট ফান্ডের সহযোগিতায়া বাঁশখালী উপজেলায় “বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু স্থানচ্যুত মানুষের প্রয়োজনীয়তাসমূহ নিশ্চিতকরণ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইপসা বাঁশখালীর খানখানাবাদ, পুকুরিয়া, ছনুয়া, বাহারছড়া, সাধনপুর ও পৌরসভা এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী যুবদের নিয়ে ৬টি যুব ফোরাম গঠন ও তাদের নেতৃত্ব দক্ষতা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, স্বেচ্ছাসেবা ও সামাজিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কৌশলের উপর প্রশিক্ষণ দিয়েছিল।