চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কর্মকার পাড়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘটিত অগ্নিকান্ডে সুকান্ত কর্মকার (৬৫) নামে এক অসুস্থ ব্যক্তি আগুনে পুঁড়ে মারা যায়। এ সময় তার ৪ সন্তানের বাড়িসহ সব মালামাল পুঁড়ে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সুত্রে জানা যায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে চাম্বল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কর্মকার পাড়ায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে আগুণে ঝলছে মারা যায় বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় থাকা সুকান্ত কর্মকার (৬৫)। আগুন ধরার পর স্থানীয় জনগন ও বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের দায়িত্বরতরা সহ লোকজন এগিয়ে এলেও তার আগে সুকান্ত কর্মকারের ৪ পুত্র কালু কর্মকার,হরিদাশ কর্মকার,জয়ধর কর্মকার, গুরুপদ কর্মকারের বাড়ির সকল মালামাল। স্থানীয় লোকজন জানান, মৃত বিকর্ন কর্মকারের পুত্র সুকান্ত কর্মকারের প্রথম সংসারে ৩ ছেলে ১ মেয়ে থাকলেও স্ত্রী মারা যায়। দ্বিতীয় সংসারে স্ত্রী, ২ ছেলে ১ মেয়ে রয়েছে। বিগত বেশ কিছুদিন থেকে চোখে দেখতে না পাওয়া শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে সময় কাটাচ্ছে সুকান্ত কর্মকার। শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন লাগার সময় স্ত্রী ও ছোট ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিল না। তাই অসুস্থ সুকান্ত কর্মকার বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে তার শরীল আগুলে ঝলছে গিয়ে ঘটনান্থলে মারা যায়। এদিকে শুক্রবার রাতে নিহতের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া দাফনের অনুমতি চাইলে থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত লাশ স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিন্মায় দেওয়া হয়। প্রশাসনের অনুমতি এলে দাফন প্রক্রিয়া সম্পাদন করা যাবে বলে জানা যায়।এদিকে অগ্নিকান্ডের খবরে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারি কমিশনার(ভুমি) মো: আবদুল খালেক পাটোয়ারী, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: তোফায়েল আহমেদ, চাম্বলের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, উপজেলা প্রখল্প বাস্তবায়ক কার্যালয়ের প্রকৌশলী লিপটন ওম সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। এ সময় বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার নগদ টাকা, বিভিন্ন প্রকারের ১৫ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৪০টি কম্বল প্রদান করা হয়। চাম্বলের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত ও পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা এবং ২০ বস্তা চাউল সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান সহ বাড়ি নির্মানে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন ।
অগ্নিকান্ডের ব্যাপারে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার আজাদুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এলে স্থানীয় জনগনের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হলেও তার আগে এক ব্যক্তির মৃত্যু এবং বাড়ির অধিকাংশ মালামাল পুঁড়ে যায়। আগুনে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন নিরুপম করা হয়নি বলে জানান ।