দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন সাধনপুর, পুকুরিয়া, কালিপুর, বৈলছড়িতে পাহাড়ধসের সৃষ্ট ক্ষতির প্রভাব কমিয়ে আনতে জিএফএফও, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইপসা “Child centred anticipatory action for better preparedness of communities and local institutions in Northern end coastal areas of Bangladesh” প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভাবে কাজ করবে। গতকাল সকালে বাঁশখালী উপজেলা অফিসার্স কাবে আয়োজিত উল্লেখিত প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং কার্যকর প্রন্থা অবলম্বনে স্টেকহোল্ডার/অংশীজনদের মতামত গ্রহণ করা হয়। অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার। উন্নয়ন কর্মী কল্যাণ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইপসা’র প্রজেক্ট ম্যানেজার সানজিদা আক্তার। প্রকল্পের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন ‘র অফিসার (এন্টিসিপেটোরি এ্যাকশন) আবু তৈয়ব।
এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ও আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি )আবদুল খালেক পাটোয়ারী, উপজেলা কৃষি অফিসার আবু সালেক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. সুপন কুমার নন্দী, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সালাহ উদ্দিন কামাল, বনবিভাগের কালীপুর রেঞ্জ অফিসার আল আমিন হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রকৌশলী লিপটন ওম, সিপিপির কর্মকর্তা মিটু কুমার দাশ, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ,ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর প্রতিনিধি, কালীপুরের ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন, রিনা আক্তার, সাংবাদিক শাহ মুহাম্মদ শফি উল্লাহ, সাংবাদিক আবু বক্কর বাবুল, সাংবাদিক প্রকাশ বড়–য়া, সাংবাদিক মো: রিয়াদুল ইসলাম, সাংবাদিক তাফহীমুল ইসলাম, ইপসার প্রজেষ্ট অফিসার মো: আতাউল হাকিম ও মাহিনুর আক্তার,মনিটরিং অফিসার মো: শাহরিয়ার আলম, এপিও রিযাজ উদ্দিন তালুকদার, মোাঃ এনামুল হক, আমান উল্লাহ সহ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সিপিপি সদস্য ,পাহাড় ধস পরিবারের লোকজন সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অবহিতকরণ সভায় উপজেলা/ ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার, চাইল্ড এন্ড ইয়ূথ গ্রুপ, আবহাওয়াবিদ, রিসোর্স পুল সহ বিভিন্ন গ্রুপকে Early warning system সহ নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান, কমিউনিটি পর্যায়ে ভয়েস ম্যাসেজ প্রদান, সচেতনতামূলক সভা/ ক্যাম্পেইন, শর্তবিহীন ও শর্তযুক্ত নগদ অর্থ প্রদান, রেইন গেজ, সয়েল ময়েস্চোর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিভাইস প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথি বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন আক্তার বলেন , দক্ষিণ চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় ও পাহাড়ধসের জন্য অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত, উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে, স্থানীয় জনগোষ্ঠী সহ নিন্ম আয়ের কিছু মানুষ কে প্রশাসন বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে পুরোপুরি সরিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছেনা, পাহাড়কাটা রোধে প্রশাসন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।অতিবৃষ্টির প্রেক্ষিতে যেকোনো সময় পাহাড়ধসে বড় ধরণের বিপযর্যের সম্ভাবনা তুলে ধরে তিনি প্রশাসনের পাশাপাশি বেসসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর প্রদক্ষেপ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিগত দিনে ইপসা কর্তৃক গৃহহীনদের ভূমি ও গৃহ নির্মাণ, সেলাই মেশিন, গবাদি পশু বিতরণ সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে ইপসা, সেভ দ্য এবং জিএফএফও বাস্তবায়িত চাইল্ড সেন্টারড এন্টিসিপেটরি একশন’র প্রকল্পের কার্যক্রম পাহাড়ি অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সচেতনতায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ করেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান এবং অভিমত ব্যত্ত করেন।