চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুকুরিয়ায় অবস্থিত চাঁদপুর-বেলগাঁও চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের এবং বাগান সংলগ্ন এলাকার ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার জন্য ২০০৯ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন চা-বাগান কর্তৃপক্ষ। টিন সেট বেড়ার স্কুল ভবন টি সম্প্রতি সেমিপাকা করতে নির্মাণ কাজ শুরু করলে বাধ সাধে এলাকার কিছু দৃস্কৃতকারি। তারা খেলার মাঠ দখল করার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ছাত্র জনতাকে জড়ো করে স্কুল ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে যে কাজ করেছে ভেঙে দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের
বাঁশখালীর একমাত্র চা বাগান পুকুরিয়ার পাহাড়ি এলাকার ৩ হাজার ৪৭২.৫৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত চাঁনপুর বেলগাঁও চা বাগান। সরকারি খাজনা ও লিজ নিয়ে বর্তমানে সিটি গ্রুপ পরিচালনা করছে চা-বাগানটি। বাগানে কর্মরত ৭ শতাধিক কর্মরত শ্রমিক এবং এলাকার শিশুদের পড়ালেখায় আগ্রহী করে তুলতে ২০০৯ সালে বাগানের এ স্কুলটি স্থাপন করেন কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই স্কুলটির শিক্ষকদের বেতন ভাতাসহ সব খরচ বহন করে চা বাগান কর্তৃপক্ষ। বেড়ার ঘেরা দেওয়া টিনসেট স্কুলটিতে পড়ালেখার মনোরম পরিবেশ না থাকায় কতৃপক্ষ স্কুলটি সেমিপাকা করতে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।এতে স্থানীয় কিছু লোক বাগান এলাকার মাঠ দখল সহ নানা ইস্যু সৃুষ্টি নির্মানাধীন স্কুল ভবনের কাজ বন্ধ করে দেয় এবং যা করেছে তা ভেঙ্ড়ে গুটিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে শংকায় রয়েছে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টরা । নাম প্রকাশ না করার শর্তে ,চা-বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, আমাদের শিশুরা বাহিরের কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ালেখা করার তেমন সুযোগ পায় নানা সমস্যার কারণে, অন্যদিকে স্কুল -মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান গুলো অনেক দূরে। চা-বাগান এরিয়াতে যে স্কুলটি কতৃপক্ষ করেছে ওই স্কুলটি পাকা ভবন না হওয়াতে মাটির পরিবেশে বসে পড়ালেখা করতে হয়। শ্রমিকদের অনুরোধক্রমে চা-বাগানের ম্যানেজার ও বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল বাশার নিজেদের অর্থায়নে স্কুলটি সেমিপাকা করতে কাজ শুরু করেন। চতুর্পাশের দেয়াল আনুমানিক ৩ ফিট পরিমাণ উঠার পর হঠাৎ কিছু উশৃংখল টাইপের ছেলেরা গিয়ে সেটি তাদের খেলার মাঠ বলে দাবি করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। অথচ চা বাগান এলাকায় যে খেলার মাঠটি রয়েছে এতবড় মাঠ বাঁশখালীতে আর নেই বললে ও চলে!
বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে রামদাস মুন্সির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক তপন কুমার বাগচী পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বাগান কর্তনতুন স্কুল কক্ষ ভাংচুরের ব্যাপারে থানায় একটি জিডি করেছে, তবে ঘটনা এতে নাম জিডিতে উল্লেখ করেনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, খবর পাওয়ার পর চা বাগান কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ রাখার জন্য বললে তারা কাজ বন্ধ রাখে। কিন্ত তারপরে ও ভাংচুর করা আইনগত ঠিক হয়েছে বলে মনে হয়না !