সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাঁশখালী‌তে ইপসার উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন বাঁশখালীতে জাতীয় যুব দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ পুকু‌রিয়া নাটমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত‌্যা‌গের দাবী‌তে বিক্ষোভ বাঁশখালীর চা বাগানের নতুন স্কুল ভবনের নির্মানাধীন কক্ষ ভাংচুরের অভিযোগ বাঁশখালীতে ইপসার প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত বাঁশখালীতে সংঘরাজের স্মরণসভা ও উপসংঘরাজ ধর্মদর্শী মহাস্থবিরের সংবর্ধনা সভা বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যনদের শপথ গ্রহন সম্পন্ন বাঁশখালীতে সাবেক সাংসদ সুলতান উল কবিরের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা বাঁশখালীতে পাহাড়ধসের ক্ষতি কমাতে কাজ করবে ইপসা ও সেভ দ্য চিলড্রেন

করোনার ৫টি নতুন মিউটেশন শনাক্ত- চবির শিক্ষকদের গবেষণা

সংবাদ দাতা
  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৭১১ জন পড়েছেন

চবি প্রতিনিধি : সুত্র -দৈনিক আজাদী|

করোনাভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্সে পাঁচটি নতুন মিউটেশন পাওয়া গেছে। দেশে অন্যান্য সিকুয়েন্সের তুলনায় এ ৫টি প্রথম শনাক্ত করা হয়েছে। মিউটেশনগুলো হলো এস১৫৫আই (১টি নমুনায় প্রাপ্ত), এন৩৫৪এস (১টি), এস৪৭৭এন (১টি), পি৬৮১এইচ (১টি) এবং ভি১১২২এল (১টি)। এদের মধ্যে পি৬৮১এইচ মিউটেশনটি সামপ্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যে পাওয়া নতুন ভাইরাসের কয়েকটি মিউটেশনের একটি। তবে এ মিউটেশনে ভাইরাসটি আক্রান্তের সক্ষমতা কতটুকু তা নিয়ে গবেষণা করার দরকার আছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। এছাড়া বিভিন্ন জিনের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোট ৮৬টি নিউক্লিওটাইড পরিবর্তন হলেও অ্যামিনো এসিডে বা মিউটেশনে কোনো পরিবর্তন হয়নি। সবগুলো মিউটেশন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৫টি মিউটেশন চট্টগ্রামে ব্যাপকভাবে বিস্তার করেছে।
করোনার জিনোম সিকুয়েন্স নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার পরীক্ষিত নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষক। তাদের গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাকর্মটির নেতৃত্ব দিয়েছেন চবির বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া। চবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক ও ড. এইচ এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ গবেষণা কাজে যুক্ত ছিলেন। পুরো গবেষণাকর্মটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জীব বিজ্ঞান অনুষদ ও বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ল্যাবে সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ৩০টি জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগের ভাইরাসটির সাথে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, সৌদি আরব, তাইওয়ান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ভাইরাসের মিল রয়েছে।
আবার প্রত্যেক জেলার ডাটা পৃথকভাবে পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে কিছুটা ভিন্নতা আছে। যেমন চট্টগ্রাম জেলার সাথে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইটালি, চেক রিপাবলিক, সৌদি আরব ও তাইওয়ানের ভাইরাসের মিল রয়েছে। নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার সাথে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান; কুমিল্লা ও চাঁদপুরের সাথে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, চেক রিপাবলিক, ভারত ও জাপানের মিল রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সৌদি আরব ও ভারতের মিল আছে। কঙবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র, সিয়েরা লিওন, জার্মানি, ইটালি, তাইওয়ান ও চেক রিপাবলিকের মিল আছে। সর্বশেষ খাগড়াছড়িতে অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব ও তাইওয়ানের নমুনার সাথে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে।
সব সিকোয়েন্সের বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে বিভিন্ন জায়গায় মোট ১২৬টি ভিন্ন ভিন্ন মিউটেশন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ওআরএফ১এ জিনে ৪৬টি, ওআরএফ১-এ ২৮টি, ওআরএফ৩-এ ১৪টি, ওআরএফ৬-এ ১টি, ওআরএফ৭-এ ১টি, ওআরএফ৮-এ ৫টি, ওআরএফ৯বি-এ ১টি, ওআরএফ১০-এ ১টি, এস ১৭টি, ই ১টি, এম ১টি এবং এন ১০টি পাওয়া গেছে।
চবির বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া আজাদীকে বলেন, কিছু প্রশ্নকে সামনে রেখে আমাদের এই গবেষণা কাজ সাজানো হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো, চট্টগ্রাম বিভাগে ভাইরাসটি সম্ভাব্য কোন পথে প্রবেশ করে থাকতে পারে এবং এর মিউটেশন সম্পর্কে জানা। এজন্য জুন-জুলাইয়ের দিকে কাজ শুরু করেছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো কাজটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পন্ন করতে এবং এটি সম্পন্ন করার জন্য সকল ধরনের লজিস্টিকস, টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ, রিএজেন্ট, কেমিক্যাল এবং বিভিন্ন ধরনের কিটসের সরবরাহ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এগুলোর সব আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ম্যামসহ সকলের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি।
তিনি বলেন, এই গবেষণার মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের করোনাভাইরাসের ওপর সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি। সে লক্ষ্যে আমরা ১১টি জেলার প্রত্যেক উপজেলা/থানা থেকে কোভিড পজিটিভ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করেছি। তারপর আরএনএর পরিমাণ ও গুণের ওপর ভিত্তি করে ৪৬টি নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নির্বাচন করেছি; যার মধ্যে ৩৩টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স ৯৯% এর উপরে উন্মোচিত হয়েছে।
গবেষণাকর্মটির সহযোগী হিসেবে ছিলেন চবি উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. খন্দকার রাজিউর রহমান, ইমাম হোসেন, মো. আরিফ হোসাইন ও সজীব রুদ্র; মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শান্তা পাল এবং বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের মো. ওমর ফারুক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
kallyan
error: Content is protected !!