সুত্র: দৈনিক আজাদী
চীনের পূর্বাঞ্চলে উৎপাদিত আইসক্রিমে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার পর আইসক্রিমটির একই ব্যাচের সব কার্টন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার। আইসক্রিমে করোনাভাইরাস পাওয়ার পর বেইজিং সংশ্লিষ্ট তিয়ানজিনের দাকিয়াওদাও ফুড কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানকার সব কর্মীর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। খবর বিডিনিউজের।
এখন পর্যন্ত আইসক্রিম থেকে কারও শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। আইসক্রিমের যে ব্যাচে করোনাভাইরাস মিলেছে, সেই ব্যাচের ২৯ হাজার কার্টনের বেশিরভাগই অবিক্রিত ছিল বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তিয়ানজিনে বিক্রি হওয়া ৩৯০টি কার্টন শনাক্ত করা হয়েছে এবং অন্যান্য অঞ্চলের কর্তৃপক্ষকে তাদের আওতাভুক্ত এলাকায় বিক্রির বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, তিয়ানজিনের যারা এই আইসক্রিম খেয়েছিলেন, তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। একাধিক দেশ থেকে আমদানি করা কাঁচামাল ব্যবহার করে এই আইসক্রিম তৈরি করা হত। এর উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে নিউ জিল্যান্ডের মিল্ক পাউডার, ইউক্রেনের অন্য একটি কাঁচামাল। এসব উপাদান থেকেও আইসক্রিমে করোনাভাইরাস যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইসক্রিমে করোনাভাইরাস পাওয়া গেলেও এতে চিন্তার কারণ নেই। হতে পারে কোনো আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে এই ভাইরাস আইসক্রিমে ঢুকে পড়েছে।