বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে কুয়াশার কারনে ভারত সীমান্তে ডুকে পড়ায় চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ৩২ জেলে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক রয়েছে বাঁশখালীর শীলকুপের পশ্চিম মনকিচর এলাকার নুরুল আবছার কোম্পানীর মালিকাধীন‘ এফ.বি. সোনার মদিনা-২’ এর জেলেরা। জানা যায় এর মালিক নুরুল আবছার কোম্পানীর মালিকাধীন ‘এফ.বি. সোনার মদিনা-২’ ফিশিং জানান, জেলেরা ৬ ফেব্রয়ারি বাঁশখালীর চাম্বলের বাংলাবাজার ঘাট থেকে সাগরে মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে রওনা দেয়। পরে ১৫ ফেব্রয়ারির দিকে মাছ ধরতে গিয়ে কুয়াশার কারনে ভারতীয় সীমানায় ডুকে পড়ায় বাঁশখালীর ১টি সহ আরো ২টি বাংলাদেশী ফিশিং বোট সীমান্তে অতিক্রম করায় তাদের আটক করে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। এদিকে ভারতীয় জেলে আটক শীলকুপের জেলে পরিবারকে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী গতকাল ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন । এ সময় শীলকূপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন সহ ইউপি সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, শীলকুপের পশ্চিম মনকিচর এলাকার নুরুল আবছার কোম্পানীর মালিকাধীন‘ এফ.বি. সোনার মদিনা-২’ এর আটক জেলেদের ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার সেহেতু সরকারের পক্ষ থেকে যে সব কাগজ পত্র চাওয়া হয়েছে তা মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে প্রেরন করা হয়েছে। আশা রাখি অচিরেই তারা দেশে ফিরে আসবে।‘এফ.বি. সোনার মদিনা-২’ ফিশিং বাঁশখালীর জেলেরা হলেন, শীলকূপ ইউনিয়নের মনকিচর এলাকার ওমর মিয়ার ছেলে শাহ আলম, ওমর কাজীর ছেলে মো. ছাবের, আলী আকবরের ছেলে ছৈয়দ আলম, ওমর কাজীর ছেলে হাবিবুর রহমান, মোস্তফা আলীর ছেলে কামাল হোসেন, হাবিব উল্লাহর ছেলে জিয়াউর রহমান, কামাল উদ্দীনের ছেলে দিদারুল আলম ও জয়নাল আবেদিন, মুহাম্মদ আলীর ছেলে নুর হোসেন, মুহাম্মদ আলীর ছেলে আজগর হোসেন, সিকান্দার আলীর ছেলে আলী আহমদ, মোস্তফা আলীর ছেলে জাফর আহমদ, মো. ইউসুফের ছেলে আকতার হোসেন, মুহাম্মদ হানিফের ছেলে কবির হোসেন, হাসান আলীর ছেলে আবুল হোসেন, আহছান আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম, ওমর কাজীর ছেলে জয়নাল উদ্দীন, আবুল কাশেমের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম, আবুল কাশেমের ছেলে ওবাইদুল হক, আলী আহমদের ছেলে মো. আবদুল্লাহ, হারুনুর রশিদের ছেলে শামসুল আলম, নবী হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, শাহ আলমের ছেলে মো. ফারুক, আবদুল আজিজের ছেলে মো. জোনাইদ, লাল মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজ, নুরুচ্ছফার ছেলে আহমদ নুর, ছৈয়দ নুরের ছেলে আরিফ উল্লাহ, আবদুস সালামের ছেলে হোসেন আহমদ, মোস্তফা আলীর ছেলে নুরুল আলম, নজির আহমদের ছেলে জসীম উদ্দীন, আমির আমজার ছেলে মো. ইয়াছিন।
এ সময় মহেষখালী ও কুতুবদিয়ার দুটি ফিশিং ট্রলার সহ ৩টি ফিশিং ট্রলারের জেলেরা বর্তমানে সীমান্ত আইনে ভারতের জেলে রয়েছে বলে সুত্রে জানা যায়। ভারতের জেলে আটক জেলে পরিবারের সদস্যরা তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরিয়ে আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে। বাঁশখালী শীলকূপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসিন বলেন, গত ২৩ ফেব্রয়ারি বাঁশখালী প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুপ্তপুর্ণ দপ্তর বরাবরে আবেদন আটককৃত জেলেদের বিস্তারিত পরিচয় দিয়ে আবেদন করেছি। আশা রাখি প্রশাসন যত সম্ভব তাদের ফিরিয়ে আনতে সকল পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: কামাল উদ্দিন বলেন, ভারতের জেলে আটক বাঁশখালীর ৩২ জেলেকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সকল ডকুমেন্ট প্রেরন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।