বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী কালীপুর নিমকালী মন্দিরে চারদিন ব্যাপী উৎসবে মঙ্গলাচরণ ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে রবিবার সকালে উষাকীর্তনে গ্রাম পরিক্রমার মধ্যে দিয়ে শেয হয়েছে। চারদিন ব্যাপী উৎসবের বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান, চন্ডী পাঠ, মায়ের পূজা,সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, ভোগরাগ,ষোড়শ প্রহর ব্যাপী নাম সংকীর্তন, অন্ন প্রসাদ বিতরণ,আলোক সজ্জা, সংবর্ধনা অনুস্ঠান ও বিশ্ব শান্তি কামনায় প্রাথর্না সভা। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত সেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাশঁখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম পি। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকার মহাব্যবস্থাপক (বার্তা)অনুপ খাস্তগীর, জন্মাষ্ঠমী উৎযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী, ঋষিকুম্ভ মেলার সাধারণ সম্পাদক অনুপ বরণ দাশ, বাশঁখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম ও মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা অজিত কুমার দাশ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন নিমকালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার নন্দী।বক্তব্য রাখেন উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক শিবেন্দু খাস্তগীর,সদস্য সচিব শেখর দাশ । এ বছর নিমকালী মন্দির পরিচালনা পরিষদের পক্ষে উপজেলার একজন সমাজ হিতৈষী বীর মুক্তি যোদ্ধা লায়ন অসিত সেন কে সংবর্ধনা জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এম পি বলেছেন, বর্তমান সরকার সনাতনী সমাজের উন্নয়নে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন এদেশে কোন সংখ্যালুঘু থাকবে না,সবাই আমরা বাঙ্গালি, কাঁধে কাধ মিলিয়ে সবাই আমরা একসাথে য্দ্ধু করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি। তিনি ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রী নিমকালী মন্দিরের বার্ষরিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি আরো বলেন,বর্তমান সরকারের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে আমরা সবাই বদ্ধ পরিকর।তিনি ঐতিহ্যবাহী নিমকালী মন্দিরের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা দেন। ষোড়শ প্রহরব্যাপী নাম সংকীর্তনে দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা অংশ গ্রহণ করেন।