চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানা পুলিশের অভিযানে একের পর এক ইয়ারা পাচারকারি আটক করা হলেও রোধ করা যাচ্ছে না ইয়াবা পাচার। চলতি সপ্তাহে ইয়াবার তিনটি চালান আটক সহ প্রতিদিনই অভিযানে হয় ইয়াবা পাচারকারি নতুনা অপরাধী গ্রেপ্তার অভ্যাহত রয়েছে। ইয়াবা পাচারে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারা ও জড়িয়ে পড়েছে। এমনকি সাধারন নারাী থেকে গৃহবধুরা ও। অল্প সময়ে বেশি টাকা উপার্জনের নেশাকে কাজে লাগিয়ে এ পেশায় জড়িত গত ২৫ মে বাঁশখালী থানা পুলিশের এস.আই মোঃ রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের পেকুয়া টু বাঁশখালী আঞ্চলিক সড়ক চাম্বল ছড়ার ব্রীজের উপর গাড়ি তল্লাশি করে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার নোয়াবাদ ইউপির দক্ষিন সিংগোয়া এলাকার হযরত আলী সিকদারের স্ত্রী হাসনা আক্তার (২৫), কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে শরীরে বিশেষ কায়দায় লুকায়িত ১০ হাজার ইয়াবা পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
২৩ মে ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ টেকনাফের মৌচনী রেজিস্টার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার মৃত আবুল কাশেম এর পুত্র নুরুল হক (২০), লক্ষীপুর জেলার কাঞ্চনপুর ইউপির পূর্ব বিঘা ডালীবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল মি দের পুত্র নুরুন্নবী (৩১),চট্টগ্রামের হাজী কলোনী চৌধুরী বিল্ডিং এলাকার সুলতান সিকদার এর পুত্র মো: জসিম সিকদার (২৩), কে ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে ২১ মে ৬ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০৪ জন কে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ । তারা হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউপির উলুচামারী এলাকার কামরুল ইসলামের স্ত্রী ছমিরা আক্তার (২৮),জাহেদ হোসেনের পুত্র দেলোয়ার হোসেন (৩০), উখিয়ার থাইংখালী ক্যাম্প এলাকার মৃত নাজির হোসেনের পুত্র নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুর ইসলাম (২৫), হোয়াইকং ইউপির কাটাখালী এলাকার মামুন অর রশিদ (৩০), কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৩৬ (১) সারণির ১০(গ) মতে বাঁশখালী থানায় মামলা করা হয় ।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মোঃ কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবাসহ ও পরোয়ানা ভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে যাচ্ছে। অপরাধ নির্মূলে পুলিশের এ অভিযান অভ্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান ।