চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়ায় ঐতিহ্যবাহি জলকদর খালের কোঁল ঘেষে অবস্থিত আলোচিত জিবিএম (গাজী) ব্রিকস এ প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান এর নের্তৃত্ব এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে ইট ভাটার মালিক ও সকল কর্মচারী পালিয়ে যায়। এ সময় নতুন করে তৈরি ও আগুন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করে রাখা গাজী বিক্সস ইট পোড়ানোর চুল্লীতে ফায়ার সার্ভিস টিমের সদস্যরা পানি দিয়ে চুল্লী নিভিয়ে দেওয়া হয়। গাজী বিক্রসের অফিস কক্ষ, মেশিনরুম সিলগালা করে দেওয়া হয়। গাজী বিক্রসের প্রস্তুতকৃত প্রায় ৯০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ইট, ২ টি ভ্যানগাড়ি,১টি ইট ভাঙ্গার মেশিন,১টি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়। পরে তা বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাহাব উদ্দিনের জিম্মায় দেওয়া হয়। এর আগে এ জিবিএম (গাজী) ব্রিকস উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাহারছড়া ইউনিয়নের রতœপুর এলাকার আজিজুল হক ও আমিনুল হক এর মালিকাধীন এ জিবিএম ব্রীকস এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জলকদর খালের মাটি ব্যবহার এবং জনবসতি পূর্ণ এলাকায় অবস্থিত হওয়ার কারণে স্থানীয় জনগন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন ,জনগন ও পরিবেশের স্বার্থে এটা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার জন্য। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলমান বলে স্থানীয় ও পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়। বিগত দিনে স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অভিযান ও জরিমানা করা হলেও পুনরায় আবারো চালু করে মালিকপক্ষ।
অভিযানের ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, এটা জলকদর খালের মাটি ব্যবহার করে ইট তৈরি ও পরিবেশের ক্ষতি সাধন করায় এ অভিযান পরিচালনা ও সিলগালা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সারাদেশে সরকার ঘোষিত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাঁশখালীর বাহারছড়ার রত্নপুরে অবস্থিত জিবিএম(গাজী) ব্রিকস এ প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করে মালামাল জব্দ ও সীলগালা করে দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।