বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাঁশখালী‌তে ইপসার উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন বাঁশখালীতে জাতীয় যুব দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ পুকু‌রিয়া নাটমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত‌্যা‌গের দাবী‌তে বিক্ষোভ বাঁশখালীর চা বাগানের নতুন স্কুল ভবনের নির্মানাধীন কক্ষ ভাংচুরের অভিযোগ বাঁশখালীতে ইপসার প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত বাঁশখালীতে সংঘরাজের স্মরণসভা ও উপসংঘরাজ ধর্মদর্শী মহাস্থবিরের সংবর্ধনা সভা বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যনদের শপথ গ্রহন সম্পন্ন বাঁশখালীতে সাবেক সাংসদ সুলতান উল কবিরের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা বাঁশখালীতে পাহাড়ধসের ক্ষতি কমাতে কাজ করবে ইপসা ও সেভ দ্য চিলড্রেন

অপূর্ণ ভালোবাসার অভিশাপ -রহস্যময় জঙ্গলে সব ‘গাছ’ই পাথরের

সংবাদ দাতা
  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪৫৬ জন পড়েছেন

সুত্র: আজাদী ডেস্ক

দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিস্তৃত ঘন জঙ্গল। শুধু পার্থক্য একটাই। রহস্যময় এ জঙ্গলের রং কালো। কালো কারণ এ জঙ্গলের ‘গাছগুলো’ সব পাথর! ডালপালা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ছোট বড় অগণিত প্রস্তর-বৃক্ষ। চীনের ইউনান প্রদেশের পাঁচশো বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই প্রস্তর অরণ্য। আগে এই অঞ্চলের নাম ছিল শাইলিন। শাইলিন শব্দের অর্থই হল পাথরের জঙ্গল।
চীনের কুনমিং থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে শাইলিন। গুহার মধ্যে যেমন স্ট্যালাগমাইট গড়ে ওঠে, এই প্রস্তর অরণ্য অনেকটা তেমনই দেখতে। গাছের মতোই মাটি ভেদ করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারি সারি পাথর। পুরো অরণ্যটাই চুনাপাথরের। তাই এই জঙ্গলে প্রবেশ করলে তাজা অঙিজেনের পরিবর্তে চুনাপাথরের গন্ধ নাকে আসবে। এই অরণ্য ৭টি অঞ্চলে বিভক্ত। জলপ্রপাত, দুটো বিশাল হ্র্রদ, প্রাকৃতিক গুহা এবং এই পাথরের জঙ্গল সব মিলিয়ে পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। ২০০৭ সালে এই এলাকার দুটো অংশ নাইগু প্রস্তর অরণ্য এবং সুওগেয়ি গ্রাম ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষিত হয়। বলা হয়ে থাকে, বিস্ময়কর এই ভূমিরূপ ২৭ কোটি বছরেরও বেশি প্রাচীন। চীনের কুনমিং থেকে বাসে এই স্থানে আসা যায়। প্রতি বছর দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক এসে ভিড় জমান। ফলে অনেক হোটেলও গড়ে উঠেছে এখানে। কী ভাবে তৈরি হল এই প্রস্তর অরণ্য? এ নিয়ে একাধিক মতবাদ রয়েছে। এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দাদের কাছে এক সুন্দরীর অপূর্ণ ভালবাসার সাক্ষী এই অরণ্য। অশিমা নামে ওই তরুণীর ভালবাসা নাকি পরিণতি পায়নি। তাকে অভিশাপ দিয়ে পাথর করে দেওয়া হয়েছিল। সেই দুঃখেই নাকি বাকি সব গাছ পাথর হয়ে যায়। তার সেই করুণ কাহিনির সাক্ষী এই প্রস্তর-অরণ্য। তবে ভূবিজ্ঞানীদের মতে, এক সময় গভীর জলাশয় ছিল এখানে। জলাশয়ের নীচে নিমজ্জিত ছিল এই পাথরগুলো। ক্রমে পানির স্তর নামতে শুরু করলে জঙ্গলের মতো পাথরগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তার পর দীর্ঘ সময় ধরে বায়ুর সঙ্গে ঘর্ষণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে এ রকম আকার ধারণ করেছে সেগুলো। প্রতি বছর ষষ্ঠ চান্দ্রমাসের ২৪ তারিখে এই এলাকার বাসিন্দারা এক বিশেষ উৎসব পালন করেন। তাদের লোকনৃত্য এবং কুস্তি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ। চিন ছাড়াও তুরস্কে পাথরের এমন বিস্ময়কর জঙ্গল দেখতে পাওয়া যায়। তুরস্কের কাপাডোশিয়ায় ওই পাথরের ভিতরে গুহা তৈরি করে এক সময় মানুষ বসবাস করতেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
kallyan
error: Content is protected !!