নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী-মুজিববর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামে ৫৩৮ টি পরিবারকে ঘর উপহার দিচ্ছে সরকার। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে ৫৩৮টিসহ দেশের ৫৫ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একযোগে গৃহপ্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলায় মোট ৫৩৮টি ঘর প্র্স্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় ৬৫টি, পটিয়াতে ১১৫টি, চন্দনাইশে ৭৫টি, সাতকানিয়ায় ৩০টি, লোহাগাড়ায় ১৮টি, বাঁশখালীতে ২৫টি, ফটিকছড়িতে ১৮৫টি ও কর্ণফুলী উপজেলায় ২৫টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে। ডিসি বলেন, ইতোমধ্যে ২৩৮টি ঘর গৃহহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। উন্নতমানের সামগ্রী দিয়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এগুলোতে চলাচলের রাস্তাসহ বিদ্যুৎ ও পানি সুবিধা রয়েছে । আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে গৃহ ও ভূমিহীনদের মাঝে আরো ১ হাজার ১৩৬টি ঘর দেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর উপকার ভোগীদের মাঝে গৃহের দলিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। এর আগে গত বছর জুনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন মোট ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, যাদের জমি আছে কিন্তু অস্বচ্ছল তাদেরকে নিজ জায়গায়, যারা ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল তাদেরকে সরকারি খাস জায়গায় গৃহ নির্মাণ করে দেবে সরকার। সরকার কাউকে গৃহহীন থাকতে দেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গৃহ নির্মাণ উপযোগী ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার ১৮৯টি পরিবারের জন্য একক গৃহ নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এদিকে বাঁশখালীর ২৫ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান অনুষ্টান শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্টিত হবে। এতে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী সহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান।্ এ সময় নতুন গৃহ প্রাপ্ত ২৫ পরিবারের সদস্যরা ও উপস্থিত থাকবেন।