মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাঁশখালীতে জাতীয় যুব দিবসে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ পুকু‌রিয়া নাটমুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত‌্যা‌গের দাবী‌তে বিক্ষোভ বাঁশখালীর চা বাগানের নতুন স্কুল ভবনের নির্মানাধীন কক্ষ ভাংচুরের অভিযোগ বাঁশখালীতে ইপসার প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত বাঁশখালীতে সংঘরাজের স্মরণসভা ও উপসংঘরাজ ধর্মদর্শী মহাস্থবিরের সংবর্ধনা সভা বাঁশখালীতে ইপসার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যনদের শপথ গ্রহন সম্পন্ন বাঁশখালীতে সাবেক সাংসদ সুলতান উল কবিরের মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা সভা বাঁশখালীতে পাহাড়ধসের ক্ষতি কমাতে কাজ করবে ইপসা ও সেভ দ্য চিলড্রেন বাঁশখালীতে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ

বাঁশখালীতে আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচির অবহিতকরণ সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১
  • ৭৬৮ জন পড়েছেন

চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) সাব কম্পোনেন্ট ২.৫ আউট অব স্কুল চিলড্রেন
এডুকেশন কর্মসূচির আওতা চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী এলাকার উপজেলা পর্যায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক অবহিতকরণ সভা ২৪ মার্চ বুধবার বিকালে বাঁশখালী উপজেলা অফিসার্স কাবে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা আহসানিয়া মিশন এর আয়োজনে অবহিতকরণ সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোমেনা আক্তার এর সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গলিব সাদলী । ঢাকা আহছানিয়া মিশনের উপজেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাছির উদ্দীন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং মতামত প্রদান করেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজমী, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর, সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, সরল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশীদ আহমদ চৌধুরী, কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শাহাদত আলম, বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দীন, বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, শেখেরখীল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইয়াছিন সিকদার,চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: বদরুদ্দিন চৌধুরী, পুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আহসাব উদ্দিন, শীলকুপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহসীন, সাংবাদিক কল্যাণ বড়ুয়া সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ গলিব সাদলী বলেন, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি দেশ কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে কেউ নিরক্ষর থাকতে পারবেনা। এজন্য এখন থেকে সুষ্ঠু জরীপের মাধ্যমে সমাজের ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী সুবিধা বঞ্চিত ও ঝরে পড়া নিরক্ষর শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনতে সরকারের পাশাপাশি আহ্ছানিয়া মিশনের মত বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সকল নিরক্ষর শিশুকে স্বাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন করে তোলার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সঠিকভাবে সেন্টার নির্বাচন করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিও সঠিকভাবে হতে হবে। এক শিক্ষার্থী যাতে পৃথক প্রতিষ্ঠনে ভর্তি হয়ে সুবিধা আদায় করতে না পারে সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সকলে আন্তরিক হলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা আগামী ২০৩০ সালে এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব হবে। বাঁশখালী শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম , জেলা প্রোগ্রাম ম্যানেজার এস এম কামরুল ইসলাম, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের ডেপুটি জেলা ম্যানেজার (ডাম) শান্তি বিকাশ চাকমা। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের জেলা এডুকেশন ম্যানেজার (ডাম) এস.এম কামরুল ইসলাম বলেন, আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচি সরকারের অগ্রাাধিকারমূলক একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ঝড়ে পরা শিশুদের শিক্ষার আওতায় আনা হয়। বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করে পঞ্চম শ্রেণি পাশ না করেই যারা বিদ্যালয় ছেড়ে দিয়েছেন তাদের জন্য এ শিক্ষা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে সরকার। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরক্ষরমুক্ত সমাজ গঠন করা। তিনি আরো জানান যে, চট্টগ্রাম জেলায় ১২ টি উপজেলায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৩০ জন শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে ৬ দিন ৩ ঘন্টা করে সকাল-বিকাল পাঠদান চলানো হবে। ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৩০ জন শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে ৬ দিন ৩ ঘন্টা করে সকাল অথবা বিকালে শিখন কার্যক্রম চলবে। শিক্ষার্থীরা মাসে গ্রামাঞ্চলে ১২০ টাকা হারে উপবৃত্তি পাবে। এর পাশাপাশি বই ও পোশাক পাবেন। ৪২ মাসের এ প্রকল্পে একজন শিক্ষার্থীকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করবেন। পঞ্চম শ্রেণি পাশ করার পর মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে জীবিকায়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান প্রোগ্রাম ম্যানেজার কামরুল ইসলাম।এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধির এনওসি প্রয়োজন হবে। কোন সরকারি স্কুলে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী এ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না। শিক্ষকদের ১২ দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সভায় জানানো হয়, শিশু জরিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। প্রতি উপজেলায় ৭০ টি শিখন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। নিয়মিত কাশ পরিচালনার পাশাপাশি সপ্তাহে এক দিন কাব-ডে পরিচালনা করা হবে। কাব-ডে কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের জীবন দক্ষতা উন্নয়ন ও সহপাঠক্রমিক কার্যলবলী পরিচালনা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
kallyan
error: Content is protected !!