চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের উত্তর জলদী নেয়াজর পাড়ায় অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ইউনুছ ও তার ভাইদের
বসতভিটা দখল করে বাড়ি নির্মাণ ও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে ।এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দাখিল করলে থানা পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধসহ উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
ঘটনার ব্যাপারে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন,জানুয়ারীর ২৮ তারিখ ঘটনার পর বাঁশখালী থানার ওসি বরাবর অভিযোগ করা হয় ২৯জানুয়ারি । পরে১৬ ফেব্রয়ারি আদালতে মামলা করলে সেদিন আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে । তা অমান্য করলে পরে ১ মার্চ থানা পুলিশ নোটিশ জারি করে। এর পর ২২এপ্রিল উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নোটিশ জারি করলে তা অমান্য হুমকি দমকি দিয়ে আসছে মৃত কবির আহমদের পুত্ররা । তার উপর ভিটার বিভিন্ন গাছ পালা ও কেটে সাবাড করে তারা ।
এ ব্যাপারে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন,বেআইনীভাবে জোরপূর্বক বহিরাগত নিযে বসতভিটা দখল করে ঘর নির্মাণ ও বিভিন্ন বনজ কাটছে জাহাঙ্গীর গংরা । এতে প্রতিবাদ করলে তারা দা কিরিচ হাতে নিয়ে আমাকেসহ পরিবারকে খুন জখমের হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আমাদের বসতভিটার ৩/৪ ফুট জায়গা দখল করে ওয়াল নির্মাণ করা শুরু করে এবং নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে।
পরবর্তীতে চট্টগ্রাম(দক্ষিণ) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শরণাপন্ন হলে আদালত ১৪৫ ধারা জারি করে এসিল্যান্ডকে উক্ত বসতভিটার স্ক্যাচ ম্যাপসহ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন এবং একই আদালত উক্ত বসতভিটার উভয় পক্ষকে ১৪৫ ধারা বাস্তবায়নে ওসিকে নির্দেশনা প্রদান করেন। ওসি উক্ত এলাকায় সরেজমিনে পুলিশ পাঠায় এবং নির্মাণ কাজ বন্ধসহ উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। তারপরে উপরোক্তরা ইটের গাথঁনি করে দেওয়াল তৈরি করে ঘর নির্মাণ কাজ শেষ। সে ব্যাপারে বাঁশখালীতে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীকে অভিযোগ করা হয় বলে জানান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ইউনুছ ।
এ ব্যপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আদালতের কপি পাওয়ার পর উভয় পক্ষকেই শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছি। তারপরেও যদি আদেশ অমান্য করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা বলে তিনি জানান ।