প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাঁশখালী উপজেলার নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত এবং পানি জমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলার সরলের কাহারঘোনা, বৈলছড়ি ইউনিয়ন, বাঁশখালী পৌরসভার জলদী বড়ুয়া পাড়া, শেখেরখীল, শিলকূপ, চাম্বল, ছনুয়া, পুইছড়ি খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথরিয়া, কালীপুর, পুকুরিয়া ইউনিয়ন সহ বেশকিছু নিম্নাঞ্চলে পানিতে তলিয়ে গিয়ে বেশ কিছু কাঁচা বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়া এবং ফসলী জমির ক্ষতি, পুকুর ডোবার সব মাছ পানিতে ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিপাত সোমবার ও অভ্যাহত ছিল। এ ঘটনায় উপজেলার বৈললছড়ি ইউনিয়নের মীর পাড়া, ফকিরের বাড়ী, চিতাখান পাড়া, উত্তর পাড়া, কুলিন পাড়াসহ ইউনিয়নের কাঁচা ঘর, অর্ধপাকা টিনের চালাঘর, বেড়ার ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামীণ অভ্যন্তরিণ সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। পাহাড়ী ঢলে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডুকেছে বন্যার পানি। তাছাড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড়ুয়া পাড়া,১ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদালিয়া, সরলের কাহারঘোনা ও পাইরাং এর হিন্দুপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিম্নাঞ্চল ডুবে গিয়ে মাছের প্রজেক্ট, পুকুরঘাট ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের মাঝে সরল ইউনিয়নে ও বৈলছড়িতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় । সরলের ৯ নং ওয়ার্ডের পাইরাং এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ৩২ পরিবারকে সরলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে চাউল, তেল ৮ প্রকার খাদ্য সামগ্রী সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় বিতরণ করেন। এ সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধরৗ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী, ইউপি সচিব হারুনুর রশিদ, ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ,মোস্তাক আহমদ, সমাজকর্মী ইমরুল হক চৌধুরী ফাহিম, মোহাম্মদ উল্লাহ সহ গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে বৈলছড়িতে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়। এ সময় বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধরৗ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী,বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: কফিল উদ্দিন সহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রবল বর্ষণে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় কিছু কিছু ক্ষয়ক্ষতি। তবে সরলের পাইরাং ও বৈলছড়ি এলাকায় কয়েকটি বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে তাদের চেয়ারম্যানের ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। বৃষ্টি এখনও অভ্যাহত থাকায় সারা বাঁশখালীর ক্ষতির পরিমান এখনও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান ।