চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা অত্যন্ত দূর্যোগপ্রবন এলাকা যেখানে জলবায়ু স্থানচ্যুত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৭৫০০। বন্যা, ঘূর্নিঝড়, উপকূলীয় ভাঙ্গনের ফলে অত্র উপজেলার স্থানচ্যুত হতে বাধ্য হেেয়ছে। বর্তমানে টেকসই বেড়িবাঁধের কাজ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলমান রয়েছে এবং আশা করি দ্রুততার সাথে উপজেলার ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় বেড়িবাঁধ সম্পন্ন হলে মানুষ বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকিমুক্ত হবে এবং জলবায়ু স্থানচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি এই উপজেলায় বন্ধ হবে এবং মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। ইপসার জলবায়ু স্থানচ্যুত মানুষের অধিকারভিত্তিক কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্বক সহযোগিতা করে যাবে এবং স্থানচ্যুত জনগোষ্ঠীর টেকসই পুনবার্সন এবং জীবনদক্ষতা বৃদ্ধিতে উপজেলা প্রশাসন ভবিষ্যতে বিভিন্ন বাস্তবমুখি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের অফিসার্স কাব মিলনায়নে ইপসা আয়োজিত ”বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু স্থানচ্যুত জনগোষ্ঠী: সমস্যা সমাধানে করণীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী এ আশ্বাস ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ইপসার প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. প্রবাল বড়ুয়া । বিশিষ্ট সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী কল্যাণ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সরল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ চৌধুরী, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরী, ইউনিয়ন ব্যাংকের উপজেলা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোরশেদুল আলম, উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির দায়িত্বরত কর্মকর্তা মিঠু কুমার দাশ, ইপসার কর্মকর্তা জাকির হোসেন, সুমাইয়া তাহসিন, সফিউল করিম, নাসিমা আক্তার, ইমরুল কায়েস, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ সহ বিভিন্ন এনজিওর কর্মকতাবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় ইপসার জলবায়ু স্থানচ্যুত জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয়তা ও অধিকারভিত্তিক প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশান উপস্থাপন করেন গবেষনা কর্মকতা মোরশেদ হোসেন মোল্লা। তিনি তার প্রবন্ধে বলেন, স্থানীয় মানুষেরা তাদের বিদ্যমান সমস্যাসমূহ ভালোভাবে চিহ্নিত করার সক্ষমতা রয়েছে এবং তা সমাধানের উপায়ও জানা আছে। তাই জলবায়ু স্থানচ্যুত মানুষের পুনবার্সন কার্যক্রমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষন প্রয়োজন। সর্বপোরি জলবায়ু স্থানচ্যুত জনগোষ্ঠীর কার্যকর পুনবার্সনের ক্ষেত্রে কমিউনিটি ভিত্তিক পুনবার্সন কার্যকর ফলপ্রসু হবে। প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বাঁশখালী উপজেলার সরকারী উদ্যোগে পুনবার্সন কার্যক্রম, সামাজিক সুরক্ষা বাতা কর্মসূচি, জীবন দক্ষতা সৃষ্টিতে কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষন কর্মকান্ডের উপকারভোগী হিসেবে জলবায়ু স্থানচ্যুত মানুষদের অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে। সর্বশেষে তিনি ইপসার দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক সেলাই প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী ১০জন মহিলার মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন।