শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাঁশখালীতে উপাসিকা সংঘমিত্রা বড়ুয়ার স্মরণে সংঘদান বাঁশখালীতে বাগীশিকের সম্মেলন ও গীতাঞ্জলি সাংস্কৃতিক একাডেমির সমাবেশ দক্ষিণ সরল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা ও অভিভাবক সমাবেশ বাঁশখালীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রশাস‌নের প্রস্তু‌তিমূলক মত‌বি‌নিময় সভা বাঁশখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশে বাঁশখালীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা মতবিনিময় সভা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাঁশখালীর ১৩২০ মেগাওয়ার্ট এস.এস.পাওয়ার প্ল্যান্ট ! বাঁশখালী‌তে ইপসার উদ্যেগে ইন্টারপ্রেটার পুলের রিফ্রেশার ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং বাঁশখালীতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির কাউন্সিল সম্পন্ন বাঁশখালীর জলদী ভাদালিয়া সরকা‌রি প্রাথ‌মিক বিদ‌্যাল‌য়ে মা সমাবেশ

ফিরে আসা ছফওয়ানের ১৪ বছর আগের অজানা কথা !

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • প্রকাশিত : শনিবার, ৯ জুলাই, ২০২২
  • ৬০৯ জন পড়েছেন

দীর্ঘ ১৪ বছর পর বাড়িতে ফিরে মোঃ ছফওয়ান বলেন, আমি ২০০৮ সালে আমাদের মাদ্রাসার সামনে রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলাম। তখন একটা গাড়ি আসল, তখন তারা বল্লো তোমার নাম কি? তখন আমি বল্লাম আমার নাম ছফওয়ান, এরপর তারা বল্লো তোমার বাড়ি কোথায়? আমি বল্লাম আমার বাড়ি এইখানে, তারপর তারা আবার বললো বাঁশখালী ইকোপার্ক কোন দিকে তুমি চিন, তখন আমি বল্লাম চিনি। এরপর তারা আমাকে তাদের গাড়িতে তুলে ইকোপার্ক নিয়ে গেল। পরবর্তীতে আমি মনে করছিলাম তারা আমাকে বাড়ির সামনে রাস্তায় নামিয়ে দিবে। তারা আমাকে আমার বাড়িতে নামিয়ে না দিয়ে আমাকে ঢাকায় নিয়ে গেল। এরপর তারা আমার পাঞ্জাবী খুলে পেন্ট শার্ট পড়িয়ে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায়। দীর্ঘ ১৩-১৪ বছর তারা আমাকে রেস্টুরেন্টে কাজ করায়। পরবর্তীতে আমি ভারতে থাকা অবস্থায় এ.কে খান গ্রুপের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের নাগরিকতা তৈরি করে তাদের দেওয়া নাম অনুসারে স্মার্ট কার্ড বানিয়ে অনেক কস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসি।

এরপর বাংলাদেশে এসে এ. কে. খান গ্রুপে ৬-৮ মাস চাকুরী করি। পরবর্তীতে আমি আমার মা-বাবা বাড়ি ঘরের খবর নিয়ে আস্তে আস্তে আমি মালিককে বলে ছুটি নিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম আসি। চট্টগ্রামে এসে কিছু ই চিনতে পারছিনা। একটা সিএনজি কে বল্লাম আমি বাঁশখালী যাব কত টাকা নিবে। তখন সিএনজি ড্রাইভার আমাকে কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ নামিয়ে দেয়। এরপর দেখলাম কর্ণফুলী তত্তার ব্রীজ নেই। কিছু ই চিনতে পারতেছি না। আরেকটি সিএনজি ড্রাইভার কে বল্লাম আমি বাঁশখালী যাব। তখন সে আমার কাছ থেকে ৮০০ টাকা নিয়ে আমাকে বাঁশখালী নিয়ে আসল। তবু ও আমি কিছু ই চিনতে পারছি না। ড্রাইভার কে বল্লাম আমাদের বাড়ির একটা মাদ্রাসা আছে, পরপর জিজ্ঞাসা করে করে আমি মাদ্রাসার সামনে আসি। এরপর দুপুর থেকে এসে কিছুই চিনতে পারছি না। সব দেখি এলোমেলো। বিকেলে আমার ভাই মিজানের বাড়ি কোনটা, জিজ্ঞাসা করে বাড়িতে আসলাম। তখন কেউ দেখি আমাকে চিনতেছি না। পরবর্তীতে সবাই কে চিনতেছি। তারা ও আমাকে চিনতেছে। আমি আল্লাহ পাকের দরবারে হাজারো শুকরিয়া আদায় করি। আমি আমার মা -ভাই -বোন আত্বিয় স্বজন সবাইকে চিনতে পারছি। আজ আমি আমার দেশ গ্রামের মানুষ কে পেয়ে অনেক আনন্দিত হয়েছি। সবাই আমি এবং আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন।

ভাইকে ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিক মিজান বিন তাহের বলেন, দীর্ঘ ১৪ বছর পরে ভাইকে ফিরে পেয়ে পরিবারের সবার মাঝে আনন্দ চলছে। তবে বাবা বেঁচে থাকলে আরো বেশি খুশি হতেন। তিনি বলেন আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল বলে ভাইকে পেয়েছি আর কিছু চাইনা ।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ