মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১০:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাঁশখালীতে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ বাঁশখালী বৈলছড়ির ঢালা সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন বাঁশখালীতে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্টিত বাঁশখালীতে আওয়ামীলীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা বাঁশখালীতে মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রশাসনের কুচকাওয়াজ ও সংবর্ধনা বাঁশখালীতে আওয়ামীলীগের জাতির জনকের জন্মদিনে আলোচনা বাঁশখালীতে জাতির জনকের জন্মদিনে প্রশাসনের আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ বাঁশখালীর বাহারচড়া রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ বাঁশখালী‌তে আন্তর্জা‌তিক দু‌র্যোগ প্রস্তু‌তি দিব‌সে র‌্যালী ও আ‌লোচনা বাঁশখালীতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

বাংলাদেশে কে কখন টিকা পাবে- খসড়া পরিকল্পনায় যা আছে

সংবাদ দাতা
  • প্রকাশিত : বুধবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৩৮৬ জন পড়েছেন

সুত্র: দৈনিক আজাদী
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জাতীয়ভাবে টিকাদানের খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা বয়স্ক মানুষদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর জানান, এই পরিকল্পনাটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এটিতে পরিবর্তন আসতে পারে। খবর বিবিসি বাংলার।
পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, টিকা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি ও জনবল নিয়োগের মতো কাজ করতে ৮ সপ্তাহ বা দুই মাসের মতো সময় লাগবে। টিকা কোথা থেকে কেনা হচ্ছে এবং এর উৎসের ওপর ভিত্তি করে আমদানির রেজিস্ট্রেশন পেতে আলাদা সময় লাগবে। এতে বলা হয়, কোভ্যাঙের টিকার রেজিস্ট্রেশন পেতে ২-৩ দিন এবং অন্যান্য উৎস থেকে টিকা কিনতে বা দেশে টিকা উৎপাদন করা হলে ১২-১৫ দিন সময় লাগবে।
টিকাদান কর্মসূচি পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং পর্যবেক্ষণে সহায়তা ও সমন্বয়ের জন্য সরকারের সব পর্যায়ে পরিকল্পনা ও সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে। রোহিঙ্গাদের টিকাদানের ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হবে।
কীভাবে টিকা দেওয়া হবে : সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকাদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভ্যাকসিন বণ্টন করা হবে। সেক্ষেত্রে প্রথমে রয়েছে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবায় সরাসরি নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখ সারিতে থাকা কর্মী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল যেসব রোগী তারা। দ্বিতীয় ধাপে থাকবে বয়স্ক, স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে এমন বয়স্ক মানুষ, শিক্ষাকর্মী, জনপরিবহনের কর্মীরা।
তিন পর্যায়ে ৫ ধাপে ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৩ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৭ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি ধাপে ১১-২০ শতাংশের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন পাবেন। তৃতীয় ও সর্বশেষ পর্যায়ে দুটি ধাপে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২১-৪০ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ৪১-৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে।
দুজন টিকাদানকর্মী ও চার জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে মোট ছয়জন করে একেকটি দল তৈরি করা হবে, যারা এই টিকাদান কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে পরিচালনা করবেন। প্রতিটি দল প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জনকে টিকা দিতে পারবে।
কোন ধাপে কারা পাবেন : প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে যে তিন শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসবেন তারা হচ্ছেন সব ধরনের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা এবং সমাজকর্মী, যারা কোভিড মোকাবেলায় সরাসরি জড়িত। এদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স এবং মিডওয়াইফারি পেশায় নিয়োজিত কর্মী, মেডিকেল ও প্যাথলজি ল্যাব কর্মীরা, পেশাদার স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা, সাইকোথেরাপির সাথে সংশ্লিষ্টরা, মেডিসিন পারসনেল, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালক মিলে ৩ লাখ ৩২ হাজার জন।
সব সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা কর্মী যারা স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন ধাপে কাজ করে কিন্তু সরাসরি কোভিড-১৯ মোকাবেলার সাথে সংশ্লিষ্ট নয়, যেমন স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যবস্থাপনা কর্মী, ক্লারিক, বাণিজ্য কর্মী, লন্ড্রি কর্মী, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য গাড়ির চালক-এমন এক লাখ ২০ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হবে।
এছাড়া ২ লাখ ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা, ৫ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যেমন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, আনসার, ভিডিপি সদস্য, তিন লাখ ৬০ হাজার অন্যান্য বাহিনী যেমন সেনাবাহিনী, নেভি, বিমানবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্ট গার্ড ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের সদস্য, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ৫০ হাজার কর্মকর্তা, ফ্রন্ট লাইনে কাজ করা সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মী ৫০ হাজার জনকে টিকার আওতায় আনা হবে।
এই ধাপে আরো যারা ভ্যাকসিন পাবেন তারা হচ্ছেন জনপ্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা কর্মী, ধর্মীয় নেতা, দাফন ও সৎকারে নিয়োজিত কর্মী, ওয়াসা, ডেসা, তিতাস ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, স্থল, সমুদ্র ও বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ, প্রবাসী শ্রমিক, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মী, ব্যাংক কর্মী, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম রয়েছে এমন রোগী, রোহিঙ্গা এবং বাফার, জরুরি ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মী।
প্রথম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে ৬০ বছর বা এর চেয়ে বয়স্ক নাগরিকদের। দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী নাগরিক, বয়স্ক এবং স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা মানুষ, শিক্ষক এবং সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মী, প্রথম পর্যায়ে বাদ পড়া মিডিয়া কর্মী, দুর্গম এলাকায় বসবাসরত মানুষ, উপজাতি, গণপরিবহন কর্মী, হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ওষুধের দোকানের কর্মী, গার্মেন্টস শ্রমিক, যৌনকর্মী ও তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা।
তৃতীয় পর্যায়ের দুটি ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপে যাদের টিকায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তাদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী যারা আগের ধাপে টিকা পাননি, গর্ভবতী নারী, অন্যান্য সরকারি কর্মচারী, অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী কর্মী, অন্যান্য স্বায়ত্বশাসিত ও আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী, রপ্তানি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মী, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বন্দর কর্মী, কয়েদি ও জেলকর্মী, শহরের বস্তিবাসী বা ভাসমান জনগোষ্ঠী, কৃষি ও খাদ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মী, ডরমেটরির বাসিন্দা, গৃহহীন জনগোষ্ঠী, অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মী, বাদ পড়া গণপরিবহন কর্মী, বাদ পড়া ৫০-৫৪ বছর বয়সী নাগরিক, জরুরি ও মহামারি ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা।
তৃতীয় পর্যায়ের শেষ ধাপে যারা টিকা পাবেন তারা হচ্ছেন অন্য ধাপে বাদ পড়া যুব জনগোষ্ঠী, শিশু ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং এর আগের সব ধাপে বাদ পড়া জনগোষ্ঠী। সব মিলিয়ে ৮০ শতাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনতে ১৯২ দিন সময় লাগবে বলে পরিকল্পনায় বলা হয়েছে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে সকাল ৯টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে। সরকারি ছুটির দিনে বিশেষ পরিকল্পনার আওতায় নির্ধারিত কিছু টিকাদান কেন্দ্রে সন্ধ্যায় টিকা দেওয়া হবে। টিকাগুলোকে জাতীয় পর্যায় থেকে জেলা পর্যায় এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় রেফ্রিজারেটর ট্রাকে করে পরিবহন করবে ইপিআই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
kallyan