শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
বাঁশখালীতে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ বাঁশখালী বৈলছড়ির ঢালা সড়কের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন বাঁশখালীতে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্টিত বাঁশখালীতে আওয়ামীলীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা বাঁশখালীতে মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রশাসনের কুচকাওয়াজ ও সংবর্ধনা বাঁশখালীতে আওয়ামীলীগের জাতির জনকের জন্মদিনে আলোচনা বাঁশখালীতে জাতির জনকের জন্মদিনে প্রশাসনের আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ বাঁশখালীর বাহারচড়া রত্নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ বাঁশখালী‌তে আন্তর্জা‌তিক দু‌র্যোগ প্রস্তু‌তি দিব‌সে র‌্যালী ও আ‌লোচনা বাঁশখালীতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

লবণের ন্যায্য মুল্যের দাবীতে বাঁশখালীর সরলে চাষীদের মানববন্ধন

সংবাদ দাতা
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৭৭২ জন পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাঁশখালীর উপকুলীয় সরল এলাকায় কয়েকশত লবণ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী লবণের ন্যায্য মুল্যের দাবী এবং চাষীদের আর্থিক প্রনোদনা ও সহযোগিতা করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে। বৃহস্পতিবার(২১ জানুয়ারি) সকালে সরলের হাজী নবাব আলী চৌধুরী লবণ মাঠ এলাকায় এ মানব বন্ধন অনুষ্টিত হয়। বাঁশখালীর উপকুলীয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর ব্যানারে কয়েকশত লবণ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী এ মানব বন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। এ সময় বাঁশখালীর উপকুলীয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লি: এর সভাপতি মো: সালাউদ্দিন চৌধুরী মানিক, নুরুল কাদের, মো: ইসমাঈল মেম্বার, মো: মোস্তাফিজ, মো: ইদ্রিস, মনির আহমদ, মো: নাছির, নবী হোছন, কবির আহমদ,মনির উদ্দিন,মো: রাশেদ, বজল আহমদ, আব্দু ছবুর, আবু তালেক, মো: জসিম প্রমুখ লবণের ন্যায্য মুল্যের দাবী তে বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য বাঁশখালীতে প্রায় ২০ হাজার লবণচাষী নানা ভাবে লবণ চাষের সাথে জড়িত। বাঁশখালী উপজেলার সর্বদক্ষিনের ছনুয়া, শেখেরখীল, গন্ডামারা, সরল, পশ্চিম মনকিচর, কাথরিয়া, খানখানাবাদ, প্ুঁইছুড়ি (আংশিক) এলাকার লবণ উৎপাদন হয়। ন্যায্য মুল্যে নিশ্চিত না হওয়ায় কিছু কিছু স্থানে লবণ উৎপাদন শুরু করলেও অধিকাংশ লবণ মাঠ এখনও খালি বলে দাবী করেন লবণ উৎপাদনকারি ও ব্যবসায়ীরা । বিগত বছর গুলোতে প্রতি কানি (৪০ শতক) জমি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকায় লাগিয়ত হয়। প্রতি কানি লবণ মাঠ চাষাবাদে খরচ পড়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতিকানি জমিতে লাগিয়ত ২০ হাজার টাকা,প্যালিথিন ৫ হাজার টাকা,পানি সেচ ৪ হাজার ও মজুরী ৩০ হাজার টাকা মিলে প্রতিকানিতে ৬০ হাজার টাকা। লবন উৎপাদন হয় প্রতিকানিতে তিন শত মন। কিন্তু দাম নিয়ে হতাশায় চাষিরা। কারণ, প্রতি মণ লবণ উৎপাদনে ২০০ টাকার বেশি খরচ হলেও চাষিরা ১২০/১৫০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। যার কারনে বর্তমানে চাষীরা নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভাল দাম না পাওয়ায় লবণ চাষীরা এখন খুবই হতাশ। দেশের কক্সবাজার এবং খুলনার পর চট্টগ্রামের একমাত্র বাঁশখালীতেই লবণ উৎপাদন হয়ে থাকে। চাষীরা মোটামুটি পর্যায়ে লবণের দাম পেলেও এবং চাহিদা কম থাকায় বেশ কিছু লবণ ব্যবসায়ী লবণ মজুদ করে রাখে। সম্প্রতি সময়ে এই লবণের দাম তেমন বৃদ্ধি না হওয়ায় নতুন করে উৎপাদন না করে পুর্বের মজুদকৃত লবণ বিক্রির করছে। এদিকে লবণচাষীদের পানি সেচে তাদের বৈদ্যুতিক মিটার পেতে তাদের চরম ভোগান্তি করে। সেদিকে প্রশাসনের সহযোগিতার আহবান জানান চাষীরা। বাঁশখালীর বিভিন্ন স্থানে কয়েক হাজার মন লবণ মজুদ রয়েছে বলে লবণ ব্যবসায়ী সুত্রে জানা যায়। তারা ন্যায্য মুল্যের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছে ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

এই পোর্টালের কোনো লেখা বা ছবি ব্যাবহার দন্ডনীয় অপরাধ
কারিগরি সহযোগিতায়: ইন্টাঃ আইটি বাজার
kallyan